রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কর্মবিরতির পাশাপাশি কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের একজন বাপেক্সের কম্পিউটার অপারেটর তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পেলেও এর আগে রাজস্ব খাত থেকে তাদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে।
এবার ঈদে তাদের বোনাস দেওয়া হবে না জানিয়ে তৌহিদুল বলেন, “আমি ১২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। প্রতিবারই মূল বেতনের অর্ধেক বোনাস দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কোনো কারণ না জানিয়েই বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।”
অস্থায়ী থেকে নিয়মিত করাসহ ঈদ বোনাস, পূর্ণ মাসের বেতন, বৈশাখী ভাতা এবং সরকারি চাকরেদের দেওয়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন বাপেক্সের আন্দোলনরত কর্মীরা।
গাড়িচালক রাকিবুল হাসান বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে আসছি। তারা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ নাই।”
কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক জাকিয়া ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের গত তিন বছর ধরে বোনাস দেওয়া হচ্ছে এটা ঠিক। তবে ১০-১২ বছর ধরে দেওয়ার দাবি সঠিক নয়।
তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে এই অস্থায়ী কর্মীদের বোনাস দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে বলে জানান জাকিয়া ইসলাম।
এদিকে সন্ধ্যার আগে তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) কয়েকজন নেতা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।