রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত ও ঈদপূর্ব বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক-মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা’ নিয়ে এক বৈঠকের পর তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাস্তাঘাটে যানজটের চাপ কমাতে এবারও পোশাক শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ২২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“এর আগে সব কারখানার শ্রমিকদের পাওনা, বোনাস ও বেতন পরিশোধের কথা মালিকদের বলা হয়েছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ আমাদের জানিয়েছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শ্রমিকরা যা পাওনা দেনা তাদের ঈদের আগে সে পাওনা পরিশোধ করা হবে।”
দেশের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতগুলো ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “পুরো জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকবে এবং বৃষ্টি হলে বায়তুল মোকাররমেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
“ঈদের ছুটিতে শহরের প্রত্যেকটি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তবে বিশেষ করে কূটনৈতিক এলাকায় আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।”
ঢাকা মহানগরের বাস, লঞ্চ, ট্রেন টার্মিনালগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগের তুলনায় অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টি ও টানা পার্টি তৎপরতা কমে গেছে।
“শপিং মলগুলোতে মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ”
মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা, কন্ট্রোল রুম ও গাড়ি বিকল হলে দ্রুত সরানো জন্য র্যাকার থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
“নৌ-রুটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নিরাপত্তায় নৌপুলিশ ছাড়াও কোস্টগার্ডও সহযোগিতা করবে।”
নিরাপত্তায় ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ এই মুহূর্তে আমরা বলব নিরাপত্তার দিক থেকে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি আপনারা দেখছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শহরগুলোতে অনেক কিছু ঘটছে।
“হলি আর্টিজেন ও শোলাকিয়ার ঘটনার পর আমরা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে অনেক সমৃদ্ধ করেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী আরো বেশি তৎপর হয়েছে।
“আমাদের কাছে এই মুহূ্র্তে কোনো ধরনের ‘থ্রেট’ নেই। যদি নিরাপত্তার কোনো প্রশ্ন আসে। আমাদের সব নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি রয়েছে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।”
রোববারের সভায় দেশের তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদু্জ্জামান মিয়া ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।