ভ্যাট অব্যাহতিতে বিকশিত হবে প্রযুক্তিখাত: পলক 

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফটওয়্যার শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি ও মোবাইল-কম্পিউটারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যে ভ্যাট কমানোয় দেশের প্রযুক্তি খাত আরও ‘বিকশিত হবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2017, 03:49 PM
Updated : 2 June 2017, 03:49 PM

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রযুক্তি খাতের বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

আলোচনার শুরুতেই ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটকে ‘সামগ্রিক অর্থেই প্রযুক্তি বান্ধব বাজেট’ বলে অভিহিত করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।

প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে বরাদ্দ হয়েছে তিন হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা, যা গত অর্থ বছরে তা ছিল এক হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এবারের বরাদ্দ টাকার হিসেবে ২ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা বেশি ও শতকরা প্রবৃদ্ধিতে এই অংক ২১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাব উৎপাদনে ব্যবহার হয় এমন প্রায় ৫০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক কমিয়ে অভিন্ন ১ শতাংশ করা হয়েছে।

এর মধ্যে আগে আমদানি শুল্ক ছিল ২১টি পণ্যে ২৫ শতাংশ, একটি পণ্যে ১৫ শতাংশ, ১০টি পণ্যে ১০ শতাংশ ও ১৮টি পণ্যে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ ছিল।

সেলুলার ফোন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এমন ৪৪টি পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পণ্যে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে, বাকিগুলি কমিয়ে ১ শতাংশে নামানো হয়েছে।

এর মধ্যে ১২টি পণ্যে আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ, ১টি পণ্যে ১৫ শতাংশ, ১৫টি ১০ শতাংশ ও ১৩টি পণ্যে আমদানি শুল্ক ছিল ৫ শতাংশ।

জুনাইদ আহমেদ পলক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এবারের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। দেশীয় হার্ডওয়্যার খাতের বিকাশে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করতে সক্ষম হলাম আমরা।”

নতুন বাজেটে দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে আয়কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দেশীয় ভারী প্রযুক্তিগত শিল্পের বিকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানি বাণিজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের জন্য উৎপাদন পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

আয়কর অব্যাহতি প্রযুক্তি পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে বলে মন্তব্য করেন পলক।

তিনি বলেন, “ডিজিটাল ডিভিডেন্ডের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ২০ লাখ কর্মসংস্থানের যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারণ করেছি, এবারের বাজেট সে লক্ষ্য অর্জনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে পলক জানান, সম্প্রতি আইসিটি বিভাগ ই-জিপির মাধ্যমে ১ লাখ টেন্ডারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সরকারি ক্রয়ে ‘স্বচ্ছতা’ নিশ্চিত করতে চালু করা এই পরিসেবার মাধ্যমে ১১ বিলিয়ন ডলারের ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বারসহ আইসিটি খাতের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।