বাজেট ব্যবসাবান্ধব: ডিসিসিআই

নতুন বাজেট নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলছে, এই বাজেটে অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 05:02 PM
Updated : 1 June 2017, 05:02 PM

বাজেটে ব্যক্তি খাত ও করর্পোরেট কর হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছে তারা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

পরে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে বোর্ড রুমে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনার পর প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

ডিসিসিআই সভাপতির লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “ঢাকা চেম্বার মনে করে প্রস্তাবিত বাজেটটি ব্যবসাবান্ধব। তবে বড় আকারের এ বাজেট বাস্তাবায়নে সরকারকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।”

উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘প্রজেক্ট মনিটরিং পুল’ প্রণয়নের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানসম্মত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রকল্পের ব্যয় কমবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড (বিডা) আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্ব ব্যাংকের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ১০০-এর ভিতরে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

“তবে পাঁচ বছরের মধ্যে কাঙিক্ষত সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে এটির বছর ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।”

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট আয়ের ২ দমমিক ৫ শতাংশ গবেষণা খাতে বিনিয়োগ ও মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নেরর ক্ষেত্রে ব্যয় করা হলে তাতে কর রেয়াত দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রস্তাবিত বাজেটে সারাদেশে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের যে উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে তা প্রশংসনীয় বলে অভিমত দিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি।

এসইজেডগুলোতে বিভিন্ন সেবার সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে ফার্স্ট ট্র্যাকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পাদনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে বিদুৎ-জ্বালানি, খনিজ সম্পদ আহরণ, রেলপথের উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে বরাদ্দ বেশি রাখাকে সাধুবাদ জানান তিনি।

“এবছর এডিপির বরাদ্দ মোট বাজেটের ৩৮ দশকি ৮ শতাশ করা হয়েছে, যা গতবছর ছিল ৩৩ শতাংশ এবং এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।”