চিনি, রসুন, মসুর ডালে দাম কমার স্বস্তি

প্রায় এক বছর পর পাইকারি বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকার নিচে নেমেছে: আর মওসুম শুরুর সময়ে দেশি রসুন ও মসুর ডালের দামও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2017, 11:45 AM
Updated : 21 April 2017, 11:58 AM

তবে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির এ সময়ের মাঝেও দেশে উৎপন্ন পেঁয়াজ আর লবণের দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা করে বেড়েছে।

শুক্রবার ঢাকার কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এমন চিত্র পাওয়া যায়।

উত্তর বাড্ডায় নূর জাহান ট্রেডার্সের পরিচালক আসলাম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাইকারিতে চিনির বস্তা (৫০ কেজি) ২৮৮০ টাকা। মিল গেইট থেকে তারা ২৮৭০ টাকায় চিনি সংগ্রহ করতে পারছেন। চিনির দাম কেজিতে অন্তত ৩ টাকা করে কমে এখন ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত বছর জুলাইয়ের শুরুতে রোজাকে সামনে রেখে আকস্মিকভাবে চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় দাম উঠানামা করলেও তা ৬০ টাকার নিচে নামেনি।

মওসুম শুরু হওয়ায় মসুর ডাল ও রসুনের দামও বেশ কমেছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল হক।

তিনি জানান, সবচেয়ে ভালো মানের মসুর ডাল এখন ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটা দানার ডাল ৬২ টাকায় এবং মাঝারি মানের মসুর ডাল ৭৫ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশি রসুনের দাম সারা বছর প্রতি কেজি ১৪০ টাকা থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে উঠানামা করলেও নতুন মওসুমের শুরুতে পাইকারি বাজারগুলোয় তা ১০০ টাকায় নেমে আসতে দেখা গেছে। রসুনের এই দাম আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে কয়েকজন বিক্রেতা আভাস দেন।

বাজারে সয়াবিন তেল লিটারে ৮১ টাকা এবং পাম তেল ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহান্তে এ দুটির পণ্যের দামও কেজিতে ২ টাকা করে কমেছে বলে কয়েকজন বিক্রেতা জানান।

তবে সম্প্রতি লবণের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে জানান উত্তর বাড্ডা এলাকার ব্যবসায়ী আসলাম মিয়া।

তিনি বলেন, সম্প্রতি লবণের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ৪০ টাকা এমআরপির মিহি লবণ এখন বাজারে এসেছে। মোটা লবণ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। মিহি লবণে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৫ টাকা। এসিআই, মোল্লা সুপার সল্ট প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দামও গত এক সপ্তাহে কেজিতে ৪ টাকা করে বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) এখন ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। সে হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৮ টাকা। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ এখন ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগেও ২২ থেকে ২৪ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। আর একমাস আগে পাইকারি বাজারগুলোতে ১৮ টাকা কেজিতে মিলেছিল পেঁয়াজ।

সবজির বাজার বরাবরের মতোই স্থিতিশীল আছে। 

কাঁচা বাজারগুলোয় বেগুন ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দুন্দল ৪০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা এবং করলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।