মূসকসহ পাওনা আদায়ে অটবির এক ইউনিটের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ

মূসক, সম্পূরক কর অর্থদণ্ড ও জরিমানা বাবদ ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা পাওনা আদায় করতে অটবি লিমিটেডের একটি ইউনিটের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2017, 02:11 PM
Updated : 19 April 2017, 02:11 PM

ঢাকা কাস্টমস, এক্সাইস ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের নির্দেশে অটবির সাভার এলাকার একটি ইউনিটের ওইসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়।

কমিশনারেট কার্যালয় থেকে অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে ৪ এপ্রিল বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো একটি চিঠির অংশ বিশেষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে এসেছে।

তাতে দেখা যায়, “যেহেতু মেসার্স অটবি লি. (ইউনিট-৫), ঠিকানা: আকরান বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকা (মূসক নিবন্ধন নং 17141012900) এর নিকট মূসক, সম্পূরক কর অর্থদণ্ড এবং জরিমানা বাবদ ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা পাওনা আছে এবং যেহেতু মেসার্স অটবি লি. (ইউনিট-৫) এখনও টাকা পরিশোধ করেন নাই, সেহেতু আপনার ব্যাংকের অটবি লি. (ইউনিট-৫) এর সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অপরিচলনযোগ্য করিবেন।”

ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করা না হলে অ্যাকাউন্টে জমা থাকা অর্থ থেকে পাওনা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করে দিতে ব্যাংককে নির্দেশনা নেওয়া হয় ওই চিঠিতে।

অটবি লিমিটেডের চিফ ট্যাক্সেশন অফিসার মাহবুবুল আলম অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার বিষয়টি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করলেও কোন কোন ব্যাংকে ওই ইউনিটের কতটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি।

তিনি বলেন, “মেসার্স অটবি লিমিটেড ৫ এর সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসার তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, অন্যান্য ইউনিটের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু আছে।”

যে ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা পাওনা আদায়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে, সেই টাকার পুরোটা সরকারের পাওনা নয় বলে ভাষ্য অটবি লিমিটেডের চিফ ট্যাক্সেশন কর্মকর্তার।

মাহবুবুল আলম বলেন, “আমার এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কাছে কিছু পণ্য বিক্রি করেছিলাম। বাংলাদেশে এডিবি ভ্যাটের আওতার বাইরে। আমরা তাদের কাছ থেকে ভ্যাট নিইনিও।

“যে ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা পাওনা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে ওই বিক্রির ১৫ লাখ টাকা আছে। আমরা বার বার এডিবির কাছ থেকে ভ্যাট না নেওয়ার বিষয়টি জানালেও তারা ওই ১৫ লাখ টাকাসহ ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা আমাদের কাছে চাইতে থাকে। এক পর্যায়ে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।”

এবিষয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন বলে জানান অটবির এই কর কর্মকর্তা।