বুধবার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন, রেডিও এবং আঞ্চলিক সাংবাদিকতা এই চার ক্যাটাগরির সঙ্গে টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে টিভি রিপোর্টিং, টিভি প্রোগ্রাম এই দুই ভাগে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ে মাছরাঙা টেলিভিশনের মাশরেক রাহাত প্রথম, এটিএন নিউজের সাবিনা ইয়াসমিন দ্বিতীয় এবং বাংলাভিশনের মিরাজ হোসেন গাজী তৃতীয় হয়েছেন।
বাকি বিভাগগুলোয় শর্ত অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ায় কেবল প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মাদ মুসা, চ্যানেল ৭১ এর বার্তা প্রধান ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে জাবেদ আহমেদ বলেন, “আমরা এখন প্রতিবছর দুই লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ৭০টি সরকারি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে এসব কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাই এখন থেকে প্রশিক্ষণ ছাড়া ভবিষ্যতে বিদেশ যাওয়া যাবে না।
“তবে বর্তমানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ‘প্রশিক্ষণ চাহিদা’ এত বেশি যে, চাইলেও সরকার তা পূরণ করতে পারে না। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”
এ সমস্যা মোকাবেলায় সরকারসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, রিক্রুটিং এজেন্সি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান হাসান ইমাম বলেন, “২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে শুধু অভিবাসন খাত থেকে আমরা প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার আয় করেছি। তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ‘অনিরাপদ অভিবাসন’ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ‘নিরাপদ অভিবাসন ও এর সম্ভাবনা’ তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা রাখছেন।”