জামানতের পরও চেক নেওয়া কেন অবৈধ নয়: হাই কোর্ট

জামানত রাখার পরও ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে চেক (পোস্ট ডেটেড ও আনডেটেড চেক) নেওয়া কেন অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2017, 01:46 PM
Updated : 20 March 2017, 01:46 PM

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রুল দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মিজানুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, রেদোয়ান আহমেদ রানজীব ও রোকন উদ্দিন মো.ফারুক।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলে রাব্বি খান।

কুমিল্লার ব্যবসায়ী আবু মো. ই্‌উসুফের আবেদনে হাই কোর্টের এই রুল হয়,  যিনি ২০১২ সালে যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখা থেকে স্থাবর সম্পত্তি জামানত এবং সিকিউরিটি চেক জমা রেখে এক কোটি ২৫ লাখ ঋণ নেন।

মিজানুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ইউসুফ ঋণ খেলাপি হওয়ার পর ২০১৫ সালে যমুনা ব্যাংক তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা হিসেবে পরিচিত এনআই অ্যাক্টে (নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট) বা হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি আইনে মামলা করে।

ওই মামলায় কুমিল্লার বিচারিক আদালত গত বছরের ২৬ জুন ব্যবসায়ী ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৫ (১) এ বলা হয়েছে, “অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায় সম্পর্কিত যাবতীয় মামলা ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত, ঘোষিত বা গণ্য হওয়া অর্থ ঋণ আদালতে দায়ের করিতে হইবে এবং উক্ত আদালতেই উহাদের নিষ্পত্তি হইবে।” 

মিজানুল হক বলেন, “তারা (যমুনা ব্যাংক) অর্থ ঋণ আদালতে মামলা না করে এনআই অ্যাক্টে মামলা করে। এছাড়া স্থাবর সম্পত্তি জামানত থাকা সত্ত্বেও সিকিউরিটি চেক নিয়ে করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়।”

ইউসুফের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে চলমান মামলার কার্যক্রম কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, যমুনা ব্যাংকের এমডি, কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট আদালত ও যমুনা ব্যাংকের লাকসাম শাখাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।