উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হলেও সবচেয়ে বেশি হয় দিঘা গ্রাম, জামতলা, ছোট বসন্তপুর, চালিতাবাড়িয়া, নারকেলবাড়িয়া, বড়বাড়িয়া, বেলতলা, গোগা, সামটা, বারিপোতায়, জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার।
এসব এলাকায় গিয়ে বাগান ঘুরে দেখা গেছে, কৃষিশ্রমিকরা এখন মুকুল রক্ষা, গুটি ঝরা বন্ধ করা, বালাই থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
বড়বাড়িয়া গ্রামের শাহাজান আলি বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ মুকুল এসেছে। তবে কিছুদিন ধরে হপার পোকার আক্রমণ লক্ষ করছি। মুকুল রক্ষার কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।”
তার নিজস্ব ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ বছর সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।
“এ বছর প্রচুর মুকুল এসেছে। এখন এগুলো হপার পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত লক্ষ রাখছি। বিভিন্ন ধরনের তরল কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এতে মুকুল সতেজ থাকবে। ভালো ফলন হবে।”
প্রতিবিঘা বাগান ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এছাড়া বিঘাপ্রতি আরও ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে খরচ বাদে লাভ হবে বিঘাপ্রতি হাজার দশেক।”
“গত বছরের তুলনায় এ অঞ্চলে এবার মুকুল এসেছে বেশি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আর বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা গেলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।”
এ উপজেলায় শুধু হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, আম্রপালি, রুপালি ও মল্লিকারই ২৭৫টি বাগান আছে বলে তিনি জানান।