দাম বাড়ায় গরুর মাংসের বিক্রি কমেছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামে তিন মাস ধরে দাম বেড়ে চলায় বিক্রি কমেছে গরুর মাংসের; বাড়তে শুরু করেছে সবজির দামও।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2017, 12:33 PM
Updated : 17 March 2017, 12:59 PM

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারে এ চিত্র পাওয়া যায়।

বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, মাংসের দাম যাচাই করতে এসে আগের দাম দেখে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায় আর হাড়সহ পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকায়। এর আগে হাড়সহ ৫০০ টাকায় ও হাড়ছাড়া ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হত।

দাম বাড়ায় বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গরুর পায়া কিনতে আসা চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফিরোজা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চারটা পায়ার দাম চাচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা, যা আমি মাসখানেক আগে ৮০০ টাকায় কিনেছি।

“যেভাবে ওরা ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছে, তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের গরুর মাংস বা পায়া খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।”

দাম বাড়ার পর থেকে মাংস বা গরুর পায়া কেনা কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, রিয়াজউদ্দিন বাজারের যে অংশে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়, সেখানকার প্রায় অর্ধেক দোকানই বন্ধ।

মাংস ব্যবসায়ী মো. শহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন মাস আগে দাম বেড়েছে।

মাংস ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ দাম বাড়ানো বলে জানিয়েছেন তিনি।

কিসের ক্ষতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারত থেকে গরু আসা কমে গেছে, ফলে স্থানীয় গরুর দাম বেড়েছে। এছাড়া দুই মণ মাংস হয় এমন একটি গরু কেটে বিক্রি শেষ হওয়া পর্যন্ত সবমিলিয়ে বাড়তি তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়।

“এতদিন ধরে ব্যবসায়ীরা কোনোভাবে ম্যানেজ করে নিয়েছে। এখন আর না পেরে দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ায় বিক্রিও কমেছে। ফলে অর্ধেক দোকানে মাংস বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।”

আগে সারা দিনে দুটি গরু জবাই করলেও বিক্রি কম হওয়ার কারণে এখন একটি গরু জবাই করছেন বলে জানান তিনি। 

গরুর দামের পাশাপাশি বেড়েছে সবজির দামও। তবে বিভিন্ন জাতের মুরগির দাম আছে আগের মতই।

সবজির খুচরা বিক্রেতা মো. রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শীত শেষ হতেই আগের দামে ফিরে গেছে সবজি।

“৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, পটল ও বরবটি। চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকা, ঝিঙে ও কচুর লতি ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।”

বিভিন্ন জাতের মুরগি পাওয়া যাচ্ছে আগের দামেই। ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা, সোনালী মুরগি ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া মাছের দামও রয়েছে আগের মতো। লইট্টা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, রুই মাছ পাওয়া যাচ্ছে ২২০ টাকায়। তেলাপিয়া পাওয়া যাচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে।

সাগরের টাইগার চিংড়ি ৪০০ টাকা ও গলদা চিংড়ি মিলছে ৪৫০ টাকায়।