আমান গ্রুপকে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন

প্রাক-যোগ্যতা সনদ নেওয়ার এক বছরের মাথায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বেসরকারি আমান ইকনোমিক জোন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2017, 02:09 PM
Updated : 16 March 2017, 02:09 PM

এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা।

বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে বেজার প্রধান কার্যালয়ে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের হাতে সনদ তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

এর আগে গত বছর অগাস্টে নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ইকনোমিক জোনকে এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আব্দুল মোনেম ইকনোমিক জোনকে চূড়ান্ত সনদ দেয় বেজা।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা নদীর তীরে হারিয়া, সোনামোহী ও বোদ্ধের বাজার এলাকায় প্রায় ৯০ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি করছে আমান গ্রুপ।

আমান গ্রুপের পরিচালক তরিকুল ইসলাম জানান, নির্মাণাধীন এই শিল্পাঞ্চলে ফুড ও বেভারেজ, শিপ বিল্ডিং, সিমেন্ট, এলপিজি, প্যাকেজিং কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া একটি বিদেশি কোম্পানি সেখানে শিল্প-কারখানা স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে।

শিল্পাঞ্চকে ঘিরে প্রথম বছর দক্ষ-অদক্ষ মিলিয়ে মোট তিন হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে আমান গ্রুপ।

আমান ইকনোমিক জোনের মূল প্রতিষ্ঠান আমান গ্রুপ পাঁচ বছর ধরে পুঁজিবাজারে রয়েছে। কোম্পানিটি পোল্ট্রি শিল্প, জুটমিল, সিমেন্ট কারখানা, কাপড় ও পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা পরিচালনা করছে।

সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে ১০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে ১৩টি প্রাইভেট অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। প্রি-কোয়ালিফিকেশনের শর্তগুলো পূরণ করায় আমান অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য দীর্ঘ সাত বছর ধরে কাজ করছে বেজা।

২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে প্র্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এই সরকারি সংস্থা।

সর্বশেষ চূড়ান্ত সনদ পাওয়া আমান ইকনোমিক জোনে বিদ্যুং সংযোগ, তিতাসের গ্যাস সংযোগসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমস্ত সর্বাধুনিক আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে বেজার পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, মো. হারুনুর রশিদ, হরিপ্রসাদ পাল ও বেজা নির্বাহী বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আইয়ুবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।