বিজিএমইএ-সিপ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানে আগামী শনিবার ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী এ মেলা হবে বলে বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ এর এক সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিক এই সংবাদ সম্মেলন থেকে চাকরি মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, মেলায় ওইদিন বিজিএমইএর তালিকাভুক্ত ৪০টি পোশাক কারখানা দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিতে আসবে।
চাকরির নিয়োগ ‘একটি চলমান প্রক্রিয়া’ মন্তব্য করে সিদ্দিকুর বলেন, “সেই হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সারা বছরই চাকরিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে পুরো বিষয়টি কারখানা মালিকদের কাছে তুলে ধরা এবং একই ছাদের নিয়ে সব চাকরিপ্রার্থী যোগ্য লোকদের একত্রিত করতে এই মেলার আয়োজন।
“পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো বড় পরিসরের চাকরির মেলা। ৪০টির মতো কারখানা এই মেলায় দক্ষ লোক খুঁজতে আসবে। চাকরি প্রার্থী হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রায় হাজার খানেক লোক।”
দেশের বিশাল জনশক্তির দক্ষতার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এডিবি ও এসডিসি এর সহযোগিতায় অর্থমন্ত্রণালয়ের নেওয়া ‘স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রাম বা সিপ’ অন্যতম।
এ প্রকল্পে নয়টি বাণিজ্য সংগঠন ও পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ২০১৮ সালের মধ্যে দুই লাখ ৬০ হাজার ব্যক্তিকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ এগিয়ে চলছে।
বিজিএমইএ ২০১৫ সালের এপ্রিলে সিপ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিজিএমইএ-সিপ নামে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করে।
পোশাক কারখানাগুলোর চাহিদা অনুযায়ী, এ প্রকল্পে ২০১৮ সালের মধ্যে ৪৩ হাজার ৮০০ লোককে ১৫টি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর বলেন, প্রকল্পের আওতায় এক দিকে কারখানার দক্ষ অপারেটর তৈরি, অন্য দিকে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করাদের পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট ১২টি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দেশের ৩৫ জেলার ৫০টি সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছে।
চাকরি মেলার উদ্বোধনী পর্বে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।