ওই লাইসেন্স পেয়েই ইউনূস ‘বেইমানী’ শুরু করেন বলে অভিযোগ করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯৬ সালের ১০ অক্টোবর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোনের। ২০০৭ সালে এসে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয় এটি।
গ্রামীণ ফোনের দ্বিতীয় সর্বাধিক শেয়ার রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের (৩৪ দশমিক ২ শতাংশ)। ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানও ইউনূস।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বুধবার সংসদে বলেন, “এই লোকটাকে (ইউনূসকে) মোবাইল টেলিফোনের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে স্বীকার করছি, আমরা অন্যায় করেছিলাম। একজনকে ঠকিয়ে আমরা ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম।”
ওই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, “চারজনের মধ্যে তিনজন মোবাইলের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য ছিল। একজনকে ঠকিয়ে আমরা এই ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দিয়েছিলাম। সেই লাইসেন্স বিক্রি করে উনি নোবেল প্রাইজ নিয়েছেন। লাইসেন্স পেয়েই তিনি বেইমানী করেছেন।
“আমরা বিনা পয়সায় রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার দিয়েছিলাম। তা দিয়ে তিনি গ্রামীণ ফোনের লাইন করেছিলেন। আমরা জানতাম না তার মধ্যে এসব ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে।”
এই প্রসঙ্গ টেনে নাসিম বলেন, “তিনি (ইউনূস) দুনিয়ার কাছে প্রমাণ করলেন বাংলাদেশ দুর্নীতিবাজ। তবে শেখ হাসিনা আছেন বলেই আজ প্রমাণ হয়েছে ওরা মিথ্যাবাদী। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সত্যবাদী। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন।”
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এসব বলেন নাসিম।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, “সংবিধানের বাইরে যাওয়ার অধিকার কারও নেই। এমনকি শেখ হাসিনারও নেই।
“ওদের (বিএনপির) শখ হয়েছে, নির্বাচনকালীন সরকারের ফর্মুলা দেবে। কেন দেবে, কী দেবে? ২০১৪ সালের আগেও আপনারা দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আসুন। কিন্তু আপনারা আসেননি। এখন আপনাদের কথা শুনলে ২০১৪ সালে যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের কাছে কী জবাব দিব?”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার দিকে ইঙ্গিত করে নাসিম বলেন, “আপনারা বলছেন, রোজ কেয়ামত হলেও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা বলতে চাই আল্লাহ না করেন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত জেলে না থাকেন।”