ছুটির দিনে জমে উঠেছে প্লাস্টিক মেলা

বাহারি রং ও ডিজাইনের গৃহস্থালি পণ্যে নিয়ে রাজধানীতে চলমান প্লাস্টিক মেলা ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনায় জমে উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2017, 02:41 PM
Updated : 17 Feb 2017, 03:24 PM

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১২তম আন্তর্জাতিক এই মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়।

গৃহস্থালি পণ্যের পাশাপাশি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট যন্ত্র ও কাঁচামাল নিয়ে বুধবার শুরু হয় চার দিনব্যাপী এই প্লাস্টিক মেলা, যা একই ছাদের নিচে দেশি বিদেশি প্লাস্টিক পণ্য প্রস্ততকারক, মেশিনারি ও কাঁচামাল সরবরাহকারী এবং তাদের এজেন্টদের ‘তথ্য ও জ্ঞান আদান প্রদানের সুযোগ’ করে দিয়েছে; দামও সাধ্যের মধ্যে বলছেন ক্রেতারা।

মেলায় অংশ নিয়ে নিজেদের পণ্যের প্রচারের পাশাপাশি অন্য দেশের উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের পণ্য ও কাঁচামাল সম্পর্কে জানতে পারার কথা জানান নাভানা গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার শুভাশিস ভৌমিক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নিজেদের পণ্যের মানের সাথে অন্যদের মানের তুলনা করা যাচ্ছে।

“আমি গতকালই একজন ভালো সাপ্লায়ার পেয়েছি, মেলা না হলে এত সহজে এটা সম্ভব হত না।”

মেলা ঘুরে উন্নতমানের যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল খুঁজতে দেখা যায় আরএফএলের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলামকে।

তিনি বলেন, “আমাদের কোম্পানির জন্য মেশিন খুঁজে দেখছি, নতুন প্রযুক্তির ও আপ-টু ডেট মেশিন প্রয়োজন আমাদের।”

মেলায় বিদেশি কোম্পানির যন্ত্র ও পণ্য যাচাই বাছাই করে কেনা যাওয়ায় বিক্রেতা থেকে ক্রেতায় পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের অংশগ্রহণে এবারের আসরে সব রকমের প্লাস্টিকের গৃহস্থালি পণ্যের পাশাপাশি পণ্য নির্মাণে ব্যবহৃত সকল প্রকার কাঁচামাল, যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে।

এর মধ্যে রয়েছে ইনেকশন মোল্ডিং মেশিন, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিন, পেট ব্লো, ফ্লেক্সোগ্রাফিক, অটোথ্রেড কাটার, প্লাস্টিকের রং ইত্যাদি।

বাংলাদেশের বাজারকে ‌‘খুবই সম্ভাবনাময়’ অভিহিত করে চায়নার সানডং টেরি সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সেলস ব্যবস্থাপক ট্রেই বলেন, ‍“আমাদের পণ্য এখানে বাজারজাত করতে চাই”

‘এজেন্ট প্রয়োজন’ লেখা একটি বিজ্ঞপ্তি ঝুলতে দেখা যায় তার স্টলে।

সুইজারল্যান্ডের প্লাস্টিকের রং ‌‘মাস্টারবেচ’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্লারিয়েন্টের জোনাল সেলস অফিসার কৌশিক কুমার সিনহা বলেন, ‍“বাংলাদেশের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবার আমরা আমাদের পণ্যের নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি।”

মেলায় আসা পুরাণ ঢাকার ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই মেলায় নতুন নতুন পণ্য দেখতে পাওয়া যায়। বিদেশি কোম্পানিগুলোর পণ্য, মেশিন ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারি, যা আমার ব্যবসায় সহায়তা করে।

মেলার পরিবেশ নিয়ে খুশি বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরাও। তাইওয়ানের এটলাস ডেভেলপমেন্ট মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের সেলস বিভাগের প্রতিনিধি রবিন ইয়াং মেলার পরিবেশ নিয়ে ভাল অনুভব করছেন বলেন জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র, আমাদের এজেন্টও খুব ভাল। আমরা ভবিষ্যতে এখানে আমাদের বাণিজ্যের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে চাই।”

এবারের আসরে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ৭২টি প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক স্টল রয়েছে।

প্লাস্টিক মেলা শেষ হবে শনিবার। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।