এ সংস্থার প্রধান শাহজাহান মাহমুদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমএনপি নীতিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। নীতিমালা পরিবর্তনের পর স্থগিত হওয়া এমএনপি নিলাম হবে।”
কী পরিবর্তন হবে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “অন্যান্য বিষয় সব একই থাকবে, শুধু নীতিমালার ‘প্রকিউরমেন্ট প্রসেস’ এ কিছুটা পরিবর্তন আসছে।”
তবে ঠিক পরিবর্তন সেখানে হবে, তা স্পষ্ট করে জানাননি বিটিআরসি প্রধান।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমএনপি সেবা চালুর যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল, নীতিমালা পরিবর্তন করতে হলে তা বিলম্বিত হবে কি না জানতে চাইলে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, নীতিমালা পরিবর্তনের কাজ খুব দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সায় পাওয়ার পরই নিলাম হবে।
নিলামে আগের সেই পাঁচ প্রতিষ্ঠানই থাকছে কীনা- তাও এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান বিটিআরসি প্রধান।
“লাইসেন্স পেতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ‘গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ পাওয়ার পর সেখানে কিছু সমস্যা দেখা গেছে। নীতিমালা সংশোধনের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
নিলামে অংশ নিতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করার পর গত ২০ সেপ্টম্বর নিলাম স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিটিআরসি। ২৮ সেপ্টেম্বর এ নিলাম হওয়ার কথা ছিল।
নিলাম স্থগিত করার সময় বিটিআরসি বলেছিল, নিলামের সঙ্গে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকায় কাজটি যথাযথ ও নির্ভুলভাবে করতে আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন।
নিলামের জন্য নির্বাচিত ৫ প্রতিষ্ঠান
>> রিভ নম্বর লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান পোল্যান্ডের টিফোরবি এসপি জেডওও)
>> গ্রিনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান লিথুয়ানিয়ার মিডিয়া ফোন)
>> ইনফোজিলিয়ন বিডি টেলিটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্লোভানিয়ার টেলিটেক ডিওও)
>> ব্রাজিল বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম (সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্রাজিলের ক্লিয়ার টেক)
>> রুটস ইনফোটেক লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান নরওয়ের সাইসটর গ্রুপ)।
সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে অপারেটর বদলান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাবে, সেই প্রক্রিয়া ‘স্বচ্ছ’ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর মে মাসে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এরপর নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হলেও চার মাসের মাথায় আটকে যায় সে প্রক্রিয়া।