তিনি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে রবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে সুপুন বীরাসিংহের স্থলাভিষিক্ত হবেন মাহতাব। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে মোবাইল অপারেটরটির শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্ব সামলে এসেছেন সুপুন।
শ্রীলঙ্কার প্রধান মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডায়লগ আজিয়াটা পিএলসির (ডায়লগ) গ্রুপ সিইও হিসেবে ফিরে যাচ্ছেন সুপুন। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ওই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
মাহতাবকে রবির নতুন সিইও করাকে কোম্পানির জন্য আনন্দের বলে মন্তব্য করেছেন আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ সিইও তান শ্রী জামালউদ্দিন ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, “অনেক বছর ধরেই আজিয়াটার বাণিজ্যিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে প্রাধান্য পাচ্ছে মেধা ব্যবস্থাপনা। নেতৃত্ব উন্নয়নে আমাদের নিরলস মনোযোগ কোম্পানিগুলোর সিইওসহ নেতৃত্বস্থানীয় পদে নিয়োগের জন্য বড় সংখ্যক কর্মীবাহিনীর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছে।”
মাহতাবের নিয়োগ আজিয়াটার ‘এশিয়ান ট্যালেন্ট ফ্যাক্টরি’ তৈরির প্রতিশ্রুতিকে সুদৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এয়ারটেলকে রবির সঙ্গে একীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে সে প্রসঙ্গে আজিয়াটার প্রেসিডেন্ট বলছেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে রবির অবস্থান শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী।
গত জুলাই মাসে নতুন সিইও হিসেবে মাহতাবকে নিয়োগের ঘোষণা দেয় রবি। তখন তিনি আজিয়াটা গ্রুপের বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে রবির ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার করা হয়।
২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মাহতাব।
২০১০ সালে চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে রবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইউনিলিভারের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় পদে ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন।
ইউনিলিভার পাকিস্তান, ইউনিলিভার আরব এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশে ফিন্যান্স ডিরেক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন মাহতাব। ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ফেলো সদস্য তিনি। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অ্যালামনাইও তিনি।