বৃহস্পতিবার বিটিআরসি কার্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন পরবর্তী অবস্থা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
২০১২ সালে প্রি-একটিভ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তা ধরা পড়লে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে তা কখনও কার্যকর হয়নি।
তারানা হালিম বলেন, “লাখ লাখ সিম অন্যের নামে নিবন্ধন করা, সে তথ্য ঠিক নয়… কয়েক হাজারের ঘরেও না। কিছু সামান্য যা আছে… গ্রাহকের অসচেতনতায় হয়েছে সেটাও বন্ধ করতে চাই।
“প্রতিটি অপারেটরকে আমরা ক্লোজলি মনিটর করছি, বাজারে অন্যের নামে অজান্তে বায়োমেট্রিক ভেরিফাই সিম পাওয়া গেলে অপারেটরদের ৫০ ডলার জরিমানা করার জন্য ইমিডিয়েটলি একটি চিঠি বিটিআরসি পাঠাবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাতদিনের মধ্যে চিঠিটা অপারেটরদের কাছে চলে যাবে। কোন অপারেটরদের কতটি এ ধরনের সিম পাওয়া গেছে… তাদের ৫০ ডলার করে জরিমানা করতেই হবে।”
এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৪ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত রয়েছে বলেও জানান তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি এখন আর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম পাওয়ার কথা নয়।
তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বারবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকের অজান্তে একাধিক সিম নিবন্ধনের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছিল টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক বিটিআরসি।
গত জুনে এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাকে সিম জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ নিবন্ধিত মোবাইল সিম, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভিওআইপি সরঞ্জামসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় পর অবৈধ আন্তজার্তিক কলের পরিমাণ কমে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহহাজান মাহমুদ।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।