সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কীভাবে অপারেটর বদল করতে পারি? আমার মনে হয়, এতে বিটিআরসির সিদ্ধান্তগত একটু অপরিপক্কতা প্রকাশ পেয়েছে।”
বিকল্প সেবা নিতে সিটিসেল গ্রাহকদের আরও সময় দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে বকেয়া পৌনে ৫শ কোটি টাকা তাগিদ দিয়েও না পাওয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন বলে সম্প্রতি জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
তারানা বলেন, “পট করেই সুইচ ওভার করতে বলতে পারি না। আমার সাথে আলোচনা ছাড়াই বিটিআরসি চিঠি ইস্যু করেছে। আলোচনার প্রয়োজন ছিল, তাহলে আইনগত বিষয়গুলো জানতে পারতাম।”
টু-জি তরঙ্গ ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতে সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বার বার তাগাদা দিয়েও ওই টাকা আদায় করতে না পেরে সিটিসেলকে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তরঙ্গ বাতিল ও অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।
ওই সময়ের মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহকদেরও বিকল্প সেবা বা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সিটিসেল বন্ধের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, “এ বিষয়ে একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। কারণ আমাদের দেখতে হবে কত বকেয়া আছে, দেখতে হবে বকেয়া ছাড়াও আর কোন কোন নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে, সেই বিষয়গুলো বিটিআরসির সাথে বসে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করব।
“তারপরই আমরা এক থেকে দুই মাস গ্রাহকদের সময় দেব অপারেটর পরিবর্তনের জন্য।”
আগামী ১৭ অগাস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের সূচি রয়েছে।
১৬ অগাস্টের মধ্যে সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিটিআরসির চিঠির সিদ্ধান্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইফেকটিভ হওয়ার সুযোগ নেই, তবে এটা ঠিক আমি যদি জানতাম অপারেটর বদলের জন্য বিটিআরসি চিঠি দেবে, একটুখানি স্থগিত রাখতে বলতাম, আসলে বন্ধের সিদ্ধান্তটি আগে আসতে হবে।”
তবে চিঠিতে লাইসেন্সের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত, তা জানিয়ে দেওয়া ঠিক আছে বলেও জানান তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ার পর বর্তমানে সিটিসেলের দেড় থেকে দুই লাখ গ্রাহক রয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।