সিটি করপোরেশন নির্ধারিত তালিকা মেনে পণ্য বিক্রি না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি মাংসের দোকানসহ তিনটি দোকানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় মেয়র কয়েকজন বিক্রেতাকে ভর্ৎসনাও করেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাতিরপুল কাঁচাবাজারে যান মেয়র সাঈদ খোকন। মেয়র বাজারে ঢুকতেই ক্রেতারা তার কাছে অভিযোগ করেন, বাজারে সিটি করপোরেশনের মূল্য তালিকা না মেনে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
এসময় মূল্য তালিকা না মেনে ৪৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করায় মোতালেব মাংস বিতানকে জরিমানা করা হয়।
এরপর থেকে অন্য বিক্রেতারা সিটি করপোরেশন নির্ধারিত ৪২০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করতে থাকেন।
সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা বাবু হাসান বলেন, “অন্য সময় গরুর মাংস আমরা ৪৬০-৪৭০ টাকা কেজিদরে কিনি, আজকে মেয়র আসার খবর পেয়ে তারা ৪২০ টাকায় বিক্রি করছে।”
এর আগে শামসুন্নাহার নামের এক ক্রেতা মেয়রকে জানান, এক কেজি হাইব্রিড কৈ মাছ ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা।
মেয়র তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাছবিক্রেতার কাছে গিয়ে বেশি দাম নেওয়ার কারণ জানতে চান। জবাবে বিক্রেতা সোহেল পাইকারিতে বেশি দামে কেনার কথা বলেন।
পেঁয়াজের দাম বেশি রাখায় তিনি ফারুক স্টোরের দোকানি আতিকুর রহমান সুমনকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া প্রতিকেজি চিনি ৬২ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকায় বিক্রি করায় জাকির স্টোরকেও জরিমানা করা হয় এসময়।
বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, বাজার মনিটরিং চলছে। ডিএসসিসির লোকজন সবসময় এ কাজে নিয়োজিত থাকবে।
তারপরও বিক্রেতারা মূল্য তালিকা না মানলে তালিকার সঙ্গে দেওয়া ফোন নম্বরে ক্রেতাদের যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
“সেই নম্বরে কল করে অভিযোগ জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন মেয়র।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মোহাম্মদ নাজমুস শোয়েব জানান, নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করায় তিন দোকানকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।