বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আর বেঁধে দেওয়া সময়ের পর নির্ধারিত নিয়ম মেনে ৪ জুন পর্যন্ত নিবন্ধিত হয়েছে আরও ৩৮ লাখের মতো সিম। এ হিসাবে মোট ১১ কোটি ৬০ লাখের মত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে নিবন্ধন বিষয়ে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
অবশ্য বিটিআরসি জানিয়েছিল, ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০ কোটি ৮১ লাখ ৮ হাজার ১৩৮টি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা আরও ৪০ লাখ বেশি।
এ বিষেয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একেবারে তাৎক্ষণিক ইনফরমেশন ছিল সেটা। কারণ আমরা বলেছিলাম জিরো আওয়ার থেকে। ১২টা বাজার এক মিনিট আগেও নিবন্ধিত হয়েছে, শেষের দিকে প্রতি সেকেন্ডে ১২৬টি নিবন্ধন হয়েছে। প্রকৃত হিসাবে জানতে তাই এক দুই দিন লেগেছে।”
অবশ্য অপারেটররা ৪ জুন পর্যন্ত বিনা পয়সায় সিম নিবন্ধনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন গ্রাহকদের। ওই নিয়ম মেনে আরও ৩৮ লাখের বেশি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে বলে তারানা হালিম জানান।
তিনি বলেন, নিবন্ধন না করায় এক কোটি ৬০ লাখের মত সিম এখন নিক্রিয় রয়েছে।
তবে দেশের ছয়টি অপারেটরের ঠিক কত সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে- তা জানাতে আরও সময় লাগবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি এনআইডির বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে গ্রাহকদের তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
‘কষ্ট করে’ সিম পুনঃনিবন্ধন করায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “যদি সম্ভব হত তাহলে প্রতিটি জনগণের কাছে গিয়ে ধন্যবাদ জানাতাম।”
সংশ্লিস্ট অপারেটর, এনআইডি কর্তৃপক্ষ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সবাইকেও ধন্যবাদ দেন প্রতিমন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।