ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমএনপি নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর বিটিআরসি এখন এমএনপি অপারেটরের কাজ দিতে নিলামের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই নিলাম অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই সেবা চালু করতে পারব বলে আশা করছি।”
বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাবে, সেই প্রক্রিয়া ‘স্বচ্ছ’ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর গত সপ্তাহে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, “নীতিমালার সংশোধিত খসড়া কোনো পরিবর্তন ছাড়াই অনুমোদন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।”
>> এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
>> একবার এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
>> বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে।
এমএনপি চূড়ান্ত নীতিমালা বলা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও এ নিলামে অংশ নিতে পারবে। তবে তাদের বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হবে ৫১ শতাংশ এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ।
নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে ১৫ বছরের জন্য এবং এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গত মার্চেই এমএনপি প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নীতিমালা সংশোধন ও চূড়ান্ত অনুমোদনে কিছুটা সময় লেগেছে, তবে এ বছরের শেষ নাগাদ এই সেবা দিতে দ্রুততার সাথে কাজ করা হচ্ছে।”