দেশের পোশাক কারখানাগুলোকে ‘সবুজ প্রযুক্তি’র আওতায় আনতে সরকার ও ক্রেতাদের সহায়তা চেয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
Published : 22 Mar 2016, 04:27 PM
মঙ্গলবার বিজিএমইএ ও কানাডা হাই কমিশন আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, “কারখানা মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সরকারকে অনুরোধ করছি, যাতে কারখানায় গ্রিন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো নির্মাণ ত্বরান্বিত হয়।
“আন্তর্জাতিক ক্রেতাদেরকেও অনুরোধ করব গ্রিন ট্যাগ লাগানো পোশাকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে।”
বিজিএমইএর অ্যাপারেল ক্লাবে ‘গ্রিনিং আরএমজি এজ সিএসআর ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই সেমিনারে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পরিবেশ রক্ষা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলাকপাত করেন বিশেষজ্ঞরা।
পোশাক কারখানাগুলো ধীরে ধীরে ‘গ্রিন টেকনলজি’র দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “ইতোমধ্যেই ২৬টি পোশাক কারখানা এলইইডি কর্তৃক গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে। আরও একশটির বেশি কারখানা ইতোমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেট গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলে (ইউএসজিবিসি) গ্রিন পর্যায়ে উন্নীত হতে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
“কারখানা মালিকদের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন।”
তৈরি পোশাক খাতকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে চারটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা হয় সেমিনারে।
‘গ্রিন মর্যাদা’ অর্জন করতে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন একেএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে রেড কনসাল্টিং বাংলাদেশের প্রকৌশলী অ্যালিস্টার কুরি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শ্রমিক নিরাপত্তার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিলিপ প্রক্টর আলোচনা করেন।
এছাড়া তৈরি পোশাক খাতকে পরিবেশ সম্মত করতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম সাজানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য আইয়ুব নবী খান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে কানাডার হাই কমিশনার বেনোয়া-পিয়ের লাহামি কারখানার কর্ম পরিবেশ বৃদ্ধি, নতুন ও অধুনিক প্রযুক্তির সংযুক্তি, শ্রমিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসব কাজে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে কানাডা সরকারের সহযোগিতার কথাও বলেন তিনি।