একসঙ্গে পোশাক শিল্পপণ্যের তিন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে একই ছাদের নিচে শুরু হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পপণ্যের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, যা চলবে চার দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2016, 05:35 PM
Updated : 13 Jan 2016, 05:35 PM

বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ‘গার্মেন্টেক বাংলাদেশ ২০১৬’; ‘ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক সোর্সিং ফেয়ার’ ও ‘গ্যাপেক্সপো ২০১৬’ উদ্বোধন করেন।

প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য খোলা থাকবে।

বিশ্বের ৩০টি দেশের ৩০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, পঞ্চদশ ‘গার্মেন্টেক বাংলাদেশ’ প্রদর্শনীতে জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, ভারত, তুরস্ক, হংকং, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বাধুনিক স্যুয়িং, নিটিং, এমব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং, ডায়িং, ক্যাড/ক্যাম, প্রিন্টিং কাটিং, স্প্রেডিং মেশিনারি তুলে ধরবে।

সপ্তমবারের মতো আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস সোর্সিং ফেয়ার’-এ বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, চীন এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন কোম্পানি উভেন ও নিট শিল্পের জন্য প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সুতার মিশ্রণের সর্বাধুনিক সংগ্রহ তুলে ধরছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সহযোগিতায় ‘গ্যাপেক্সপো-২০১৬’ এর সপ্তম আসরে রয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ এবং মোড়কসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিস্তৃত সংগ্রহ।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ, প্যাকেজিং এবং লেবেল, জিপার, ট্যাগ, ট্যাপ, থ্রেড, রিবন, বাটন, রিভেট, লেইস, হুক, ট্রান্সফার ফিল্ম, পেপার, ইন্ক ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট মেশিনারি তুলে ধরছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সেজন্য এই খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে কর্যকরি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

“একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পখাত গড়ে তুলতে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ শিল্পের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট ও টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বিসিককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও তৈরি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তা আনিসুল হক বলেন, “দেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে কিছু এনজিও এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশ কাজ করছে। এ অবস্থায় দেশীয় এ শিল্পকে এগিয়ে রাখতে সরকারের নীতিগত সহযোগিতা বাড়াতে হবে।”

জাকারিয়া ট্রেড আ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) যৌথভাবে তিনটি প্রদর্শনী আয়োজন করছে।

এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল বলেন, ২০০২ সালে গার্মেন্টেক বাংলাদেশ শুরুর সময় দেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে চার দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হত। গত ১৫ বছরে এই শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটায় তা ২৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গার্মেন্টেক বাংলাদেশ এবং এর সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনীগুলো একই জায়গায় হওয়ায় এই শিল্পের স্থানীয় উদ্যোক্তারা একই ছাদের নিচে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ইয়ার্ন, ফেব্রিক, গার্মেন্ট আ্যাকসেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্য পরখ করতে পারছেন।