তিনি বলেছেন, যেসব ট্যানারি মালিক নির্দেশনা মানবে না, তাদের ক্ষেত্রে সরকার আইনি পথেই হাঁটবে।
নোটিস পাঠিয়েও কাজ না হলে নির্দেশ অমান্যকারী ট্যানারির লাইসেন্স বাতিল এবং সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে তাদের প্লটও বাতিল করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার ঢাকার একটি সম্মেলন কেন্দ্রে তৈরি পোশাক সামগ্রীর মেলার উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
গত রোববার ‘শিল্পখাতের উন্নয়নে চলতি অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম মূল্যায়ন’ সভায় শিল্পমন্ত্রী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাজারীবাগ না ছাড়লে ট্যানারিগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সেই সময় শেষ হচ্ছে বুধবার।
এ পরিস্থিতিতে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি উচ্ছেদ করা হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, “তাদের নোটিস পাঠানো হবে। যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, সেহেতু নোটিসের মাধ্যমেই তা করতে হবে। হুট করে করা যাবে না।”
রাজধানীর পরিবেশ রক্ষায় হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সরিয়ে নিতে সাভারে চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলা হলেও ব্যবসায়ীরা তাদের আগের স্থান ছাড়তে অনাগ্রহী।
বিসিক ও ট্যানারি মালিকদের দুই সংগঠনের মধ্যে হওয়া সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, মালিকদের ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হাজারীবাগের সব ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের কথা ছিল।
পরে আরও দুই দফা সময় বাড়িয়ে ট্যানারি স্থানান্তরের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর করা হয়।
তবে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে ট্যানারি মালিকদের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা না যাওয়ায় ৭২ ঘণ্টা সময় দেন মন্ত্রী।