সিমের সঙ্গে হ্যান্ডসেটেরও নিবন্ধন হবে

আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকের কাছে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2015, 09:35 AM
Updated : 16 Dec 2015, 06:18 PM

বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিটিআরসি এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে, মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট নম্বরও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।”

তবে কী প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের হাতে থাকা হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করতে হবে তা জানাননি প্রতিমন্ত্রী।

“এটা হলে একজন নাগরিকের সম্পূর্ণ ডিজিটাল আইডেনটিটি হবে। এক বা একাধিক সিম ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা তারই নামে হতে হবে, এভাবে তাকে সিকিউর করতে চাই।”   

প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ পদ্ধতি শুরু হলে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বর ব্যবহারকারীদের নিবন্ধন করতে হবে।

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে হ্যান্ডসেট নম্বর নিবন্ধনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ার ব্যবহার করা হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সব গ্রাহককে সিম নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সিম নিবন্ধনের সময় হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের কাজটিও করে নেওয়া হবে।  

অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে যেসব মোবাইল হ্যান্ডসেট আছে সেগুলোর প্রতি তিনটিতে একটিই নকল বা অবৈধ।

তাদের হিসাবে প্রতি বছর এক কোটির বেশি অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশের বাজার আসছে। এগুলোর বাজারমূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা, আর এর পুরোটাই যাচ্ছে গ্রাহকের পকেট থেকে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আইএমইআই নম্বরবিহীন সেটই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন।

আর এ কারণে মোবাইল নম্বর থাকার পরও অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া হারিয়ে গেলে বা ছিনতাই হলেও তা উদ্ধার করা যায় না।

এসব অপকর্ম বন্ধে অপারেটরদের ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) যন্ত্র বসানোর নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। এরপর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি।

ওই ব্যবস্থা চালু হলে ব্যবহারকারীরা আইএমইআই নম্বরহীন হ্যান্ডসেট দিয়ে সিম ব্যবহার করলে তা বন্ধ করে দেওয়া যায়। এছাড়া নম্বরযুক্ত কোনো হ্যান্ডসেট চুরি হলে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। সিম বদলে ফেললেও একজন কলারকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

আইএমইআই নম্বর হলো ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই ফোনের বিশেষ এই সনাক্তকরণ নম্বর পর্দায় ভেসে ওঠে, যা নকল হ্যান্ডসেটে থাকে না।