এমএনপি নীতিমালায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সায়

মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ (এমএনপি) তৈরির নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2015, 12:02 PM
Updated : 2 Dec 2015, 12:47 PM

বুধবার সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এমএনপি অতি শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে। আমাদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের যে অনুমতি চাওয়া হয়েছে তাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

“মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি সেবা চালুর বিষয়টি মোবাইল অপারেটরদের এখন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়ে দেবে।”

এর আগে গত সেপ্টম্বরে এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নির্ধারণের বিষয়টিও অনুমোদন দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।

আগামী বছরের শুরুতেই গ্রাহকরা এ সুবিধা পেতে যাচ্ছেন বলে ইতোমধ্যে  জানিয়েছেন তারানা হালিম।

আর বিটিআরসি গত মে মাসে জানিয়েছে, এমএনপি সুবিধা চালু করতে সংস্থাটি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে।

নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালে জুনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

টু-জি লাইসেন্স নবায়নের সময় নির্দেশনায় অপারেটররা সমন্বিতভাবে এমএনপি চালু করবে বলে লেখা ছিল। তবে সঠিক সময়ে তা সম্ভব হয়নি।

এরপর বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে এমএনপি চালু করতে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে দেওয়া হয়।

সরকারের কাছে অনুমোদিত হয়ে এলে এটির জন্য টেন্ডার ও লাইসেন্স এবং লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান বিষয়টি অপারেট করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

২০১৩ সালে অপারেটরদের এমএনপি সুবিধা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। সাত মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে হবে।

আর এ নির্দেশনা জারির তিন মাসের মধ্যে অপারেটরদের এমএনপি সেবা শুরু করার জন্য একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতেও বলা হয়েছিল। প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড উভয় ধরনের গ্রাহকই এমএনপি সুবিধা পাবে বলে সেখানে উল্লেখ ছিল।

বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিষেবা চালু রয়েছে।