প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর অসন্তোষের মধ্যে টেলিকম রেগুলেটরি অথিরিটি অফ ইন্ডিয়া (টিআরএআই) এই নির্দেশনা দেয় বলে বৃহস্পতিবার টাইমফ অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
কলড্রপ সমস্যায় নিয়ে বাংলাদেশেও মোবাইল ফোন গ্রাহকদের ভুগতে হচ্ছে। তা নিয়ে একদিন আগেই দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
নরেন্দ্র মোদী কয়েকমাস আগে কলড্রপ সমস্যা নিয়ে কথা বলেছিলেন। দুদিন আগে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিও ভোডাফোনের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে এক বৈঠকে তার সমস্যার কথা তুলেছিলেন।
সভায় উপস্থিত একাধিকজন বলেন, বাসায় বা অফিসে মোবাইলের সিগন্যাল না পেয়ে অর্থমন্ত্রী তাকে ‘১৯৯৫ সালের মোবাইল ফোনপূর্বযুগে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিরক্তি প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
জেটলি বলেন, “টেলিযোগাযোগ খাত একটি সফলতার নাম হলেও অসম্পূর্ণ সেবার কারণে এ খাতের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে; আর সেখানে বিশ্বে প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর নামও আছে।”
কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা খুব শিগগিরই কার্যকর হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কলড্রপের জন্য যে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টিআরএআইকে বলা হয়েছে।
বিগত ৫/৬ মাস ধরে কলড্রপের উপর একটি তদন্তও চলছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ভারতে কলড্রপ সমস্যা পিক আওয়ারে বিগত এক বছরে দ্বিগুণে উঠেছে বলে এদিকে টিআরএআই সর্বশেষ প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।