হ্যান্ডসেট আমদানিতে বিশেষ সতর্কতা বিটিআরসি’র

মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও বাজারজাতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2015, 12:15 PM
Updated : 7 Sept 2015, 12:15 PM

সোমবার এক সতর্কবাণীতে বিটিআরসি বলেছে, নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও বাজারজাতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সচিব মো. সরোয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিটিআরসি বিশ্লেষণ করে দেখেছে, বিটিআরসির আমদানি অনাপত্তি ছাড়াই অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে নকল ও ওয়ারেন্টি ছাড়াই নিম্নমানের হ্যান্ডসেট আমদানি ও বাজারজাত করছে।

ওই সতর্কবাণীতে বলা হয়, মোবাইল সেটগুলো নকল হওয়ায় আইএমইআই নম্বর সঠিক না থাকায় এইসব ফোন হারিয়ে বা চুরি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা ট্র্যাক করতে পারে না, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

হ্যান্ডসেট অবৈধভাবে আমদানি হওয়ায় সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।

নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ

ভবিষ্যতে বিটিআরসি’র পূর্বানুমতি ছাড়া বেতারযন্ত্র আমদানি ও বাজারজাত সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতেও বিশেষভাবে সতর্ক করেছে এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সংস্থাটি বলেছে, বেতার যন্ত্রের অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমদানি নীতি আদেশ ২০১২-১৫ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী যে কোন প্রকার বেতারযন্ত্র আমদানিতে আবশ্যিকভাবে বিটিআরসি’র পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হয়।

এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ছয় মাসের মধ্যে নকল সেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বর দেওয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি।

পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে নকল সেটে আইএমইআই নম্বর দেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছিল বিটিআরসি।

অবশ্য তিন বছর পার হয়ে গেলেও এসব উদ্যোগ ‘পরিকল্পনাতেই’ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।