গ্রামীণফোন-রবির নিরীক্ষায় যাচ্ছে বিটিআরসি

মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2015, 03:02 PM
Updated : 23 August 2015, 03:02 PM

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার দুই অপারেটরের নিরীক্ষার অনুমোদন দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

চিঠিতে দেখা যায়, প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে অপারেটরদের সিস্টেম অডিট করতে বলা হয়েছে। এর আওতায় আর্থিক, কারিগরি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সবই অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিটিআরসির নথির সঙ্গে অপারেটরদের আমদানি যন্ত্রপাতির দাম যাচাই করে দেখবে। এছাড়া অপারেটরদের দেওয়া প্রকৃত রাজস্বের হিসাব ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে বিটিআরসি ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

অপারেটরদের ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট যাচাইও নিরীক্ষার অংশ থাকবে।

মোবাইল অপারেটরদের নিরীক্ষার যাবতীয় খরচ বিটিআরসির বহন করার কথা রয়েছে।

বিটিআরসির অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, নিরীক্ষার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অনুমতি দিলেও এ বিষয়ে বিটিআরসির নিজস্ব ব্যয়ের বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। ওই বিষয়টি অনুমোদনের পরই এই নিরীক্ষা শুরু হবে।

দুবছরেরও বেশি সময় পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল অপারেটরদের হিসাব নিরীক্ষার জন্য আগ্রহী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আগ্রহপত্র চেয়েছিল বিটিআরসি।

৯টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দেয়। এর মধ্যে থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে বিটিআরসি।

গত বছর এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানিয়েছিলেন, এ বছরের মধ্যে দুটি করে অপারেটরদের নিরীক্ষা শুরু হবে।

২০১১ সালে দেশীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে হিসাব নিরীক্ষা করায় মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো নিরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেলে নিরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।

২০১১ সালে ৩ অক্টোবর দেশীয় একটি কোম্পানি নিরীক্ষা করার পর গ্রামীণফোনের কাছে তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয় বিটিআরসি।

গ্রামীণফোন দেশীয় ওই নিরীক্ষার ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তোলে। এরপর ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করতে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে আবেদন করে।

২০১১ সালের ২০ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে দেওয়া বিটিআরসির চিঠির ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ দেয় হাই কোর্ট।

এঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক কোম্পানি দিয়েই নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়ে আসছিলো মোবাইল অপারেটররা।