জুন পর্যন্ত ছয় মাসে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি। এই অঙ্ক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।
Published : 31 Jul 2024, 11:07 PM
খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে না পারায় ফের বড় লোকসানের মধ্যে পড়ল আর্থিক অনিয়মে ন্যুব্জ হয়ে পড়া বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড-এনবিএল।
পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন, খেলাপি ঋণ আদায়ে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের মধ্যেও চলতি বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) ব্যাংকটি নতুন করে লোকসান দিয়েছে এক হাজার ৬৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে লোকসান হয়েছে ২৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) লোকসান ছিল ৭৬৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। এই হিসাবে আগের চেয়ে শেষ প্রান্তিকে লোকসান কিছুটা কমেছে এনবিএলের।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসইর বোর্ডে এই আর্থিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। আগের দিন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
ছয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, গত ছয় মাসে এনবিএলে শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয় তিন টাকা ৩১ পয়সা।
৩ হাজার ২১৯ টাকারও বেশি পরিশোধিত মূলধনের ব্যাংকটির শেয়ার সংখ্যা ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০টি।
এ হিসাবে চলতি বছরের ছয় মাসে ব্যাংকটি লোকসান গুনেছে এক হাজার ৬৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
আগের বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে এ বছর লোকসান বেড়েছে ৪৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৬৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান ছিল ৬২৭ কোটি ৮৪ লাখ।
আগের দুই বছরও বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয় দেশের সবচেয়ে বড় পরিশোধিত মূলধনের ব্যাংকটি। ২০২৩ সালে লোকসান ছিল এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল তিন হাজার ২৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
দেশের কোনো ব্যাংকের এক বছরে এত বেশি লোকসান দেওয়ার নজির নেই। গত জুন শেষে লোকসান বেড়ে যাওয়ায় এনবিএলের পুঞ্জীভূত লোকসান বেড়েছে। গত ডিসেম্বরে এই লোকসানের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৪ কেটি টাকা, ছয় মাসের ব্যবধানে জুন শেষে তা ৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
বিপুল এই লোকসানের কারণ হিসেবে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে একটি ব্যাখ্যা দিয়ে এনবিএল বলেছে, বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে সুদ আদায় করতে না পারা, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি ও ঋণ আদায় না হওয়া, উচ্চ সুদে আমানত ও ধার নেওয়ায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় ছয় মাসে লোকসান বেড়েছে।
এর আগের প্রান্তিকেও লোকসানের ব্যাখ্যায় একই কথা বলা হয়।
আড়াই বছর পরে পরিচালন মুনাফা
সার্বিক হিসাবে লোকসান হলেও আড়াই বছর পরে একক মাস হিসেবে গত জুনে পরিচালন মুনাফা করতে পারার কথা জানিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই মাসে ৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা হয়েছে। আমরা শুরুটা করতে পেরেছি, আশা করছি সামনের দিনগুলোতে নিট লোকসান কমে আসবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে মুনাফায় ফিরতে পারবে ন্যাশনাল ব্যাংক।”
উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ
১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি এক সময় বেশ শক্তিশালী ব্যাংক হিসেবে পরিচিতি ছিল।
২০১০ সালেও ব্যাংকটি মুনাফায় থেকে সরকারের কোষাগাড়ে কর হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছিল। সেই ব্যাংক এখন নগদ টাকার সংকটে ভুগছে।
আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আমানত কমে যাওয়ায় নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। গত ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি নগদ টাকার সরবরাহে ঘাটতি দাঁড়ায় সাত টাকা ৯৫ পয়সা।
জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে এই ঘাটতি ছিল ৭ টাকা ১৪ পয়সা। আর গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ৩ টাকা ৮৯ পয়সা।
নগদ টাকার সংকট তীব্র হওয়ার কারণে উচ্চ সুদে অর্থ ধার ও আমানত সংগ্রহ করছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে তাদের। বাড়ছে ব্যাংকটির পরিচালন খরচ।
দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ ধার করে বাণিজ্যিক ব্যাংক। লোকসান বেড়ে যাওয়ায় সেই ধারের অঙ্ক বেড়েছে এনবিএলের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে ব্যাংকটি ধারের অংক বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ২২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
অবশ্য মাঝে গত মার্চ শেষে ধারের পরিমাণ কমে এক হাজার ৯১২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা হয়েছিল। অর্থাৎ শেষ তিন মাসে ধারের অঙ্ক বেশি বেড়েছে।
তবে আমানতের সুদহার বেড়ে গেছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার সীমা তুলে দেওয়ার পর আমানতের সুদহার ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বছর খানেক আগেও ৬ শতাংশ আমানত পাওয়া যেত।
আমানতের মত ঋণের সুদহারও বেড়েছে। কিন্তু নতুন বড় ঋণে লাগাম টানায় ঋণ বিতরণ কমেছে সামান্য। গত জুন শেষে ঋণের অঙ্ক নেমেছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি টাকায়। গত ডিসেম্বরে ছিল ৪৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। মাঝে গত মার্চ শেষে আরো কমে হয়েছিল ৪৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
অনিয়মের ঘটনা সামনে আসার পরপর থেকে কমছে আমানত। গত জুন শেষে গ্রাহকদের কাছে আমানত নেমেছে ৪০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায়, ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৪২ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
বন্ড ও আমানত মিলিয়ে ব্যাংকের দায় গত জুনে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকায়, ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৫৪ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।
সুদ আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি
ঋণ ও অন্যান্য খাত থেকে ব্যাংকটি যে পরিমাণ সুদ আদায় করতে পেরেছে, তার চেয়ে আমানতকারীদের পেছনে সুদ পরিশোধ ব্যয় বেশি হচ্ছে। এতে জুন শেষে এ খাতে লোকসান গুনেছে ৭৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। গত মার্চ প্রান্তিকে সুদ বাবদ লোকসান ছিল ৪৫৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আর আগের অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে লোকসান ছিল ৫০৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বিনিয়োগ থেকে আয় কমে আসায় চলতি বছরের ছয় মাসে এনবিএলের পরিচালন লোকসান হয়েছে ৩০৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গত বছরে এই সময়ে পরিচালন লোকসান ছিল মাত্র ২১ কোটি টাকা।
লোকসানের মধ্যেও পরিচালন খরচ বেড়েছে। চলতি বছরের ছয় মাসে পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৭৭৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে যা ৬৫৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ছিল।
পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কর্মীদের বেতন ভাতা। বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ খাতে ব্যয় হয় ১৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা বেড়ে হয় ১৪৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে ছয় মাসে মোট ব্যয় হয় ২৮৫ কোটি টাকা। আগের বছরের ছয় মাসে ছিল ২৭০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
লোকসান ঠেকাতে কী পরিকল্পনা
আর্থিক সংকট কাটানো, বেড়ে যাওয়া খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা ও ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলা ফেরানোর মত বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এনবিএল জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন শুধু রিকভারি, রিকভারি, রিকভারি ফর্মুলায় আছি ব্যাংকের সব কর্মকর্তা। ঋণ আদায় ছাড়া এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব না।”
গত ছয় মাসে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বড় বড় গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের সঙ্গে মিটিং করছি। আমি নিজেও যাচ্ছি তাদের কাছে, বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনে যতটুকু ছাড় দেয়া যায়, তা ব্যাংক দেবে।”
আদায় বাড়াতে পারলে আর্থিক সংকট কেটে যেতে সময় বেশি লাগবে না বলেও আশা করছেন তিনি।
এক লিখিত বক্তব্যে তৌহিদুল আলম খান বলেন, “দীর্ঘ আড়াই বছর পর ন্যাশনাল ব্যাংক মাসিক মুনাফায় ফিরেছে। জুন মাসের অনিরীক্ষিত মাসিক মুনাফা হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিভিন্ন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে নগদ ঋণ/পাওনা আদায় হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।
“চলতি বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখে আমি ন্যাশনাল ব্যাংকে এমডি ও সিইও হিসাবে যোগদান করার পর প্রথমেই এর মূল সমস্যাগুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। অনুসন্ধানের প্রথমেই যেটি চিহ্নিত হয়, নির্দিষ্ট কিছু সময়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি-বহির্ভূতভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা অনাদায়ে মন্দ ঋণে পরিণত হয় এবং উক্ত মন্দ ও খেলাপী ঋণ ব্যাংকটিকে আজকের এই নেতিবাচক অবস্থায় নিয়ে আসে। তাই খেলাপি ঋণ আদায়ে সক্রিয় হওয়া ছিল আমার প্রথম পদক্ষেপ। এই পরিপ্রেক্ষিতে, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একটি রিকভারি টাস্কফোর্স গঠন করি।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের যত উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২ সালে যে ১০টি ব্যাংককে বিশেষ তদারকির সিদ্ধান্ত নেয় সেগুলোর একটি এনবিএল। ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিচালক পর্ষদের ‘বনিবনা’ না হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের মে মাসে ব্যাংকের ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে আবার ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আসে।
ওই সময় বলা হয়, চলতি মূলধন, ভোক্তা, কৃষি, সিএমএসএমই খাতে শুধু ঋণ পারবে ব্যাংকটি। এর বাইরে অর্থাৎ প্রকল্প ঋণ, আমদানি অর্থায়ন বা রপ্তানি বিলের বিপরীতে কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না।
একযুগের বেশি সময় ধরে সিকদার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল এনবিএল। গত ডিসেম্বরে পর্ষদ বাতিল করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে। স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেনকে।
কিন্তু ঋণ ও অন্য ব্যাংকের সঙ্গে এনবিএলকে একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়ায় গত ২ মে তারা একযোগে সবাই পদত্যাগ করেন। সিকদার পরিবারের একমাত্র সদস্য পারভীন হক সিকদারও সরে যান।
তার পদত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে সিকদার পরিবারের অধ্যায় শেষ হয় এনবিএলে।
এরপর গত ৬ মে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমান। ১০ সদস্যের নতুন পর্ষদে আগের তিন পরিচালককে রাখা হয়েছে। পুরনোর মধ্যে নতুন পর্ষদে জায়গা হওয়া অন্য দুই পরিচালক হলেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে মনোনীত পরিচালক সফিকুর রহমান।
নতুন পর্ষদে আনা দুই পরিচালক আনা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের পরামর্শে তাদের ন্যাশনাল ব্যাংকে পরিচালক করা হল।
স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসিএর সাবেক কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামীকে। প্রতিনিধি পরিচালক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে এম তফাজ্জল হককে।
পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় চার্টার্ড একাউন্টেন্ট রত্না দত্ত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক জহুরুল হুদা।
আর প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে নতুন করে আনা হয় প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ ও আইনজীবী এহসানুল করিমকে।