বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ব্যাংকের পাশাপাশি এমন লেনদেনে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসকে অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, “আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকীকরণ ও করনেট সম্প্রসারণ জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।“
ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে কাঁচামাল এবং বেতনভাতার অর্থ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর নতুন প্রস্তাব অনুমোদন পেলে ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ এমন লেনদেনেরে ক্ষেত্রে এসব চ্যানেলে লেনদেন করতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: পিএমও
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা বলছেন, আনুষ্ঠানিক এসব চ্যানেল ব্যবহার করা না হলে এই অর্থ আয়কর রিটার্নে ব্যয় খাতের হিসাবে গণ্য হবে না। বরং আয় হিসেবে গণ্য করে তা আয়করযোগ্য করার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
মুস্তফা কামাল আরো বলেন, “এসব প্রস্তাব পাশ হলে আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার বড়ো হবে, বিনিয়োগ ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।”
এছাড়া তিনি যে কোনো সরবরাহ ও ঠিকাদারি বিল ব্যাংক ও এমএফএসের মাধ্যমে না নিলে উৎসে করহারের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কর্তন করার প্রস্তাব করেন।
এই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের আয় ও ব্যয়ের হিসাবে আরো স্বচ্ছতা আনবে এবং মোবাইল ফ্যাইন্সিয়াল সার্ভিস অথ্যার্ৎ বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করবে বলে আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন।
বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে বেতন-ভাতা ও সম্মানীর পরিমাণ ১৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ক্রস চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে করার বিধান রয়েছে।
তা না হলে এই খাতে ব্যয় করা অর্থ ব্যয় হিসাবে দেখানো হয় না। আয় হিসেবে গণ্য করে এই অর্থ করযোগ্য হয়ে যায়।
আয়করের বিধান অনুযায়ী বর্তমানে পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাঁচামাল কেনায় ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন ক্রস চেক বা ব্যাংকের মাধ্যমে করার বিষয়ে ছাড় ছিল।
অর্থমন্ত্রীর নতুন প্রস্তাব অনুমোদন পেলে লেনেদেনের বাধ্যবাধকতা থাকা এমন পরিশোধে এমএফএস বা ডিটিজাল পেমেন্টের মাধ্যমে না করলে বাড়তি করের বোঝা চাপবে ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তার ওপর বলে এনবিআর কর্মকর্তারা জানান।
আরও পড়ুন
মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবায় করপোরেট কর বাড়ল
করপোরেট কর কমছে ২.৫ শতাংশ পয়েন্ট
কৃষিপণ্য উৎপাদনের ৬ খাতে মিলবে ১০ বছরের কর অবকাশ
মহামারী: জরুরি প্রয়োজনে রাখা হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ এ ১০ বছর কর অব্যাহতির প্রস্তাব
সামাজিক নিরাপত্তায় প্রথমবারের মত লাখ কোটি টাকা
বাড়ি বানাতে টিআইএন লাগবে