অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে ওই সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পের বিদ্যমান প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়েছিল।
“এর ফলে এই খাতে করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর প্রভাব সফলভাবে মোকাবেলা করা গেছে। চলতি অর্থবছরেও এই ধারা অব্যাহত রাখার ফলে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়ায়। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ রপ্তানি অর্জন করে। এ কারণে আগামী অর্থবছরেও এই অতিরিক্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।”
বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানির চারটি খাতে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অপ্রচলিত বাজারে ৪ শতাংশ, ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের জন্য মূল্য সংযোজনের ৪ শতাংশ ও প্রচলিত বাজারে ১ শতাংশসহ রপ্তানির ওপর বিভিন্ন নগদ সহায়তা রয়েছে।
মন্ত্রীর এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বিকেএমইএর সহ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “এটা অবশ্যই পোশাক রপ্তানির জন্য ভালো খবর। তবে আমরা এবার দীর্ঘমেয়াদে নীতি সহায়াত চেয়েছিলাম। কিন্তু সে ধরনের কিছু পাইনি।”
শিল্পোদ্যোক্তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে করভার হ্রাস করার লক্ষ্যে শিল্পের কাঁচামাল/উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে ব্যাংক, বীমা ও বন্দরের ইস্যু করা বিলকে ভ্যাট চালান হিসাবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছেন।
পোশাক খাত এই দুটি নীতি সহায়তা থেকেও উপকৃত হবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।