বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এই বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ২৬ হাজার ৬৪ কোটি এবং জ্বালানি খাতে এক হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটের সংক্ষিপ্তসারে এ খাতে কোনো ভর্তুকি দেখানো হয়নি।
বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ২৪ হাজার ৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা ২৬ হাজার ৫০২ কোটি ডলারে নেমে আসে।
নতুন অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালনি খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দের পরিমাণ মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিদায়ী অর্থবছরেও একই ছিল।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট এবং ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। দেশে বিদ্যুতের মোট সঞ্চালন লাইন রয়েছে ১১ হাজার ৪৯৩ সার্কিট কিলোমিটার।
বর্তমানে ১৪ হাজার ২০২ মেগাওয়াট সক্ষমতার ৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন এই খাতে আরও বড় বড় প্রকল্প আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই জ্বালানি খাত গড়ে তুলতে ২০২১ সালের মধ্যে জ্বালানির ব্যবহার ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্ভরতায় না রেকে জ্বালানির বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।