বরাদ্দ কমলো আইন ও বিচার খাতের

সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিভাগে প্রায় তিন ডজন নতুন এজলাস ও চেম্বার স্থাপনের কথা নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বলা হলেও আইন ও বিচার খাতে আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2019, 04:23 PM
Updated : 13 June 2019, 04:23 PM

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নিজের প্রথম বাজেট প্রস্তাবে আইন ও বিচার খাতের জন্য এক হাজার ৮৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন, যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৩৫৯ শতাংশ।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা; যা ছিল মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৩৭৩ শতাংশ।

সে হিসাবে আইন ও বিচার খাতে আগামী বাজেটে গতবারের থেকে বরাদ্দ কমছে শূন্য দশমিক ০১৪ শতাংশ পয়েন্ট। 

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের জন্য ১৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সুপ্রিম কোর্টের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৮০ কোটি টাকা।

এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের জন্য আসছে অর্থবছরে ৩৫ কোটি টাকা এবং আইন ও বিচার বিভাগের জন্য এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

চলতি অর্থবছরে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে ৩৫ কোটি এবং আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপিল বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপিল বিভাগে চারটি এবং হাই কোর্ট বিভাগে ৩০টি এজলাসসহ চেম্বার নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে।

“সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি অধস্তন আদালতসমূহের সকল কার্যক্রমকে আটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদলতসমূহের বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।”

মামলা ও বিচার ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সকল আদালতকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করার জন্য ঢাকায় একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে এবং ৭টি বিভাগীয় শহরে আরো ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান কামাল।