বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণকে প্রণোদনা প্রদান এবং পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হাতে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।”
অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি পেলেই কেবলমাত্র কর দিতে হবে। আগে এই সীমা ছিল ২৫ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে নগদ লভ্যাংশকে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টক লভ্যাংশ বিতরণের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের কথা বলা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ পেতে চান। কিন্তু কোম্পানিগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের বদলে ‘স্টক ডিভিডেন্ড’ তথা বোনাস শেয়ার বিতরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
একইভাবে নগদ লভ্যাংশকে উত্সাহিত করতে কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইন্ড আর্নিংস ও রিজার্ভের সমষ্টি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হলে তার উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করতে নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির লভ্যাংশ আয়ের উপর একাধিকবার করারোপন রোধ করার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে এই সুবিধা শুধু নিবসী কোম্পানির জন্য ছিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহী করার জন্য এ বছর নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে এ বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব করছি। এর ফলে, নিবাসী কোম্পানির পাশাপাশি অনিবাসী কোম্পানির ডিভিডেন্ড আয়ের উপরও একাধিকবার কররোপন হবে না।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন,“বাজেটে যে সব প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে ভাল ফলাফল নিয়ে আসবে। এর জন্য আমরা পুঁজিবাজারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাই।”