পোশাক শিল্পে বড় ধরনের কর অব্যাহতি চলবেই

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য বড় ধরনের কর অব্যাহতির যে সুযোগ চলতি অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

রিয়াজুল বাশার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2019, 03:07 PM
Updated : 13 June 2019, 03:07 PM

এছাড়া বর্তমানে তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনার পাশাপাশি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি।

বর্তমানে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ৩৫ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ।

কিন্তু তালিকা ও অতালিকাভুক্ত দুই ধরনেরই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের করহার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন থাকলে এ হার ১০ শতাংশ। এছাড়া টেক্সটাইল খাতে আয়কর হার ১৫ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “এ খাত দুটি অনেক বছর হ্রাসকৃত করহার সুবিধা ভোগ করছে। এ বছর ৩০ জুন এ সুবিধার মেয়াদ শেষ হবে।

“দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাত দুটির অবদান বিবেচনায় আমি হ্রাসকৃত করহারের এ সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।”

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। এখাতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ কর্মরত রয়েছেন।

বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি এবং তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজেএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চীন-ভারতের মতো দেশে শ্রমঘন তৈরি পোশাক শিল্পে এ ধরনের কর অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আগামীতেও অব্যাহতি রাখাটাকে ‘যৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন তৈরি পোশাকের চারটি খাত ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা পাচ্ছে। আমি আগামী অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাকের বাকি সব খাতের জন্য এক শতাংশ রপ্তানি প্রণোদনা প্রস্তাব করছি।

“এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আরও দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।”      

পারভেজ বলেন, অনেকদিন ধরেই পোশাক শিল্পের মালিকরা সবখাতের জন্য পাঁচ শতাংশ প্রণোদনা দাবি করে আসছে। এ প্রণোদনা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমেএর সভাপতি রুবানা হকও প্রণোদনার হার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, “এ বাজেট নিঃসন্দেহে জনকল্যাণমুখী বাজেট। শিল্পের দিক থেকে যদি বলেন, তাহলে বলব শতভাগ খুশি না হলেও শতকরা ৭০ ভাগ খুশি আমরা।”