যদিও জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী সেই বরাদ্দের পরিমাণ জানাননি।
তিনি বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি সুসংবাদ দিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আমি প্রথমে আলোকপাত করতে চাই।
“দীর্ঘদিন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানাবিধ কারণে এমপিওভুক্তি কার্যক্রমটি বন্ধ ছিল। এবারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা এমপিওভুক্তি কার্যক্রমের জন্য এ বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান রাখা হয়েছে।”
সবশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে সরকার। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন।
আন্দোলনের মুখে গত বছরের জুলাইয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত অগাস্টে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন আহ্বান করলে নয় হাজার ৬১৪টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে দুই হাজার ৭৬২টি প্রতিষ্ঠান এমপিওর যোগ্য বিবেচিত হয়। তবে অর্থের অভাবে সেগুলোকে এমপিও দিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে এক হাজার ২৪৭ কোটি টাকা দরকার বলে সম্প্রতি এক চিঠিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবার আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ব্যাপারে আশা করেছেন কিছুদিন আগে।