বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের একগুচ্ছ সংশোধনী প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দুবছরের জন্য স্থগিত রাখার পর এ বছর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়ন করা হবে।
“ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনানুষ্ঠানিক ঐকমত্য হয়েছে। আইনটিকে যুগোপযোগী করা এবং মূসক হারের পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব অর্থবিল আকারে এ বাজেটে উত্থাপিত হচ্ছে।”
অধিকতর যুগোপযোগী ও ব্যবসায়-বান্ধব করার লক্ষ্যে নতুন আইনে কিছু সংস্কার ও সহজীকরণের প্রস্তাব করেন তিনি, যেগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মুসক অব্যাহতি ছাড়াও রয়েছে:
* ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতকে উৎসাহ দিতে ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টার্নওভারের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে কর দেওয়ার সুযোগ;
* মূসক নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা;
* ১৫ শতাংশ মূসকের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ মূসক আরোপ:
* স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে করভার কমানোর জন্য মূসক হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ;
* ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানের মতো স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসকের হার যথাক্রমে ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ অব্যাহত রাখা; এবং
* পণ্য ও সেবার সরবরাহের ক্ষেত্রে চালানের তথ্য ধারণের জন্য দোকান ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) এবং সেলস ডেটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার ইএফডি মেশিন ক্রয়ের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
পাশাপাশি বাজেট প্রস্তাবে সংশোধিত আইনের বিশেষ কিছু দিকও তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
* পণ্য সরবরাহের আগে বিদ্যমান মূল্য ঘোষণা পদ্ধতি বাতিল করে বিনিময় বা ন্যায্য বাজার মূল্যের ভিত্তিতে কর পরিশোধের ব্যবস্থা:
* যেক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য সেক্ষেত্রে দাখিলপত্রের মাধ্যমে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাবে; এবং
* দাখিলপত্রই রিফান্ডের আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে।