ঘাটতির এই পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
অবশ্য বাজেটে চার হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশার কথা বলেছেন মুহিত। ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি থাকবে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব করেন মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে। ঋণের অর্থের এই পরিমাণ বিদয়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ঋণের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রী পরিকল্পনা করেছেন, এবার বৈদেশিক উৎস থেকে ৭৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। সেখান থেকে ১১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধে খরচ হবে। ফলে সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা।
ঘাটতির বাকি ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪৮ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে।
বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৪৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা নিয়ে ঘাটতি মেটানোর কথা বলা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৭৪৫কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বিদায়ী অর্থবছরে মূল বাজেটে ব্যাংক থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ছিল।
ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহনের পরিমাণ কমায় এ লক্ষ্য ১৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা নেয়ার কথা বলা হয় সংশোধিত বাজেটে।
আর বিদায়ী অর্থবছর জুড়ে বেশি হারে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাত থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ধার করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে এক লাখ ২২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা হয়েছে।