করের পরিধি বাড়িয়ে রাজস্ব লক্ষ্য তিন গুণ করার প্রস্তাব

কর আরোপের যোগ্য সেবা খাতের পরিধি বাড়িয়ে আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য তিন গুণ বাড়িয়ে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

নিজস্ব চট্টগ্রামবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2016, 10:13 AM
Updated : 31 May 2016, 11:04 AM

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে এই সুপারিশ তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ইছমাইল।

গত বছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয় দুই লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চলতি বাজেটে সেবা খাতের অনেকগুলোকে আয়ের উৎস হিসাবে রাখা হয়নি। আমাদের প্রস্তাব, সেবা খাতে নতুন কর আদায়ের উৎসগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

দেশে  কর্মরত বিদেশি ও পর্যটকদের উপর কর, সম্পদ কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ কর ও বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের উপর নতুন করে করারোপের পরামর্শ দেন তিনি।

ইছমাইল বলেন, “বিউটি পার্লার, সেলুন, রেস্তরাঁ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আপনার কাছ থেকে ভ্যাটের কথা বলে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে আদায়কৃত অর্থ জমা দেয় না।

“বিদেশিরা এদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করলেও কর দেয় না। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যাপক কর ফাঁকি দেয়। এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি এবং কর আদায়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি হ্রাস প্রয়োজন।”

বিদেশি ঋণ সহায়তার উপর নির্ভরতার গ্রহণের পরিবর্তে সরকারকে নিজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি জ্যোতি প্রকাশ দত্ত বলেন, “জামায়াত তার শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে মৌলবাদ বিস্তারে।

“এরা বিদেশ থেকে অর্থ আনছে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করছে সরকারের বিরুদ্ধেই। সরকার এত চেষ্টা করার পরও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারছে না জামায়াতের শক্তিশালী আর্থিক কাঠামোর জন্যই।”

জ্যোতি প্রকাশ বলেন, মীর কাশেমের বিচারের সময় আমরা দেখেছি সাবেক বিচারপতি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করছে। কারণ জামায়াতের জন্য কা্উকে কেনার জন্য ১ কোটি বা ২ কোটি টাকা খরচ করা কোন সমস্যা না।

“জামায়াত সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ না করলে সরকারের পক্ষে জামায়াত ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রন সম্ভব হবে না।”

তিনি বলেন,সিটি কর্পোরেশনগুলো আয় বাড়াতে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে ট্যাক্স প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়াতে কাজ করা উচিত। অনেকেই কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাযশ করে কর ফাঁকি দেয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, কোষাধক্ষ সুজিত কুমার দত্ত, সদস্য মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী।