গরমে ঘরে-বাইরে কাজেকর্মে ঘেমেনেয়ে অস্থির হলে এক গ্লাস মাঠা দিতে পারে তৃপ্তি।
ঘোলের আরেক নাম মাঠা। সেই মাঠার জমজমাট বাজার বসেছে গাজীপুরের চা বাগান এলাকায়। শুধু স্থানীয়রাই যে আসছেন তা নয়, মাঠার গ্লাসে চুমুক দিতে দূরের এলাকা থেকেও আসছেন নানা বয়সীরা।
কীভাবে যাবেন মাঠার বাজারে?
টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর থেকে আজমেরি বা প্রভাতি বনশ্রী পরিবহনে ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়ে ধরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক স্টেশনে নামতে হবে।
এই মৌচাক স্টেশন থেকে সিএনজি বা ব্যাটারি রিকশা যোগে পৌঁছে যাওয়া যায় তুরাগ নদীর কাছে চা বাগান বাজারে।
মাঠার দোকানগুলো এখানে মাঠাঘর বলেই বেশি পরিচিত। এই বাজারে রয়েছে ২৫টি মাঠাঘর।
মাঠা বানাতে দুধ, ঠাণ্ডা পানি আর লবণ দেওয়া হয়। খদ্দেরের স্বাদের চাহিদা অনুসারে আইসক্রিম, চকলেট ও লেবুও মেশানো হয়।
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও এখানে মাঠা খাওয়ার জন্য আসছেন অনেকে।
এখানকার মাঠা নিয়ে টাঙ্গাইলের রেজা ইসলাম বলেন, “আশেপাশের কোথাও এখানকার স্বাদ ও মানের মাঠা পাওয়া যায় না।
”টেলিভিশনের খবর দেখে পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে এসেছি মাঠা খেতে।”
সিরাজগঞ্জের রেজাউল করিম শুধু নিজে মাঠা খেলেন তা নয়, পরিবারের সদস্যদের জন্যও মাঠা নিয়ে যান এখান থেকে।
তিনি বলেন, ”এখানকার মাঠা খেয়ে তারাও নিশ্চয়ই মজা পাবে”
এই বাজারে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মাঠা বিক্রি হয় বলে জানালেন মাঠাঘরের বিক্রেতারা।
ভেজালমুক্ত উপাদানে মাঠা বানানোয় ক্রেতাদের কাছে এখানকার মাঠার চাহিদা রয়েছে বেশ, বলছেন দোকানিরা।
মাঠা ব্যবসায়ীরা প্রতি সপ্তাহে একবার সভা করেন; আর এই সভায় মাঠায় ভেজাল না মেশানো নিয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানালেন চা বাগান বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান।