স্বাস্থ্যবিধি না মানায় টাঙ্গাইলের বিপনী কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার চার দিনের মাথায় ফের বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Published : 14 May 2020, 05:08 PM
বুধবার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমাজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সাপেক্ষে গত ১০ মে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজারগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
“কিন্তু গত চারদিন সরেজমিনে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এজন্য জনসাধারণ তথা টাঙ্গাইলবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মৃত্যু ঝুঁকির কথা বিবেচনায় এনে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার থেকে আবার সকল দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।”
তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান, কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল টাঙ্গাইলের বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানপাট। ১০ মে মার্কেট খোলার দিন থেকে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন লোকজন। ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়নি।
এদিকে, হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন দোকান মালিকরা। ঈদকে সামনে রেখে আগের পণ্যের সঙ্গে অনেকেই দোকানে নতুন পণ্য তুলেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু সাংবাদিকদের বলেন, “আসলে আমাদের দেশে পরিকল্পনা করে কিছু করা হয় না। হুট করেই দোকান খোলার সিদ্ধান্ত হলো, আবার আজ থেকে হুট করেই আবার বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”
এভাবে দোকান বন্ধ না করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছিল না তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া যেত বলে তিনি মনে করেন।