সাঈদীর পক্ষে আরো দুজনের সাক্ষ্য

জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনৈক ভাগিরথী, ইব্রাহিম কুট্টি ও সাহেব আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের বিরোধিতা করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো দুই সাক্ষী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2012, 09:47 AM
Updated : 9 Oct 2012, 09:47 AM
ঢাকা, অক্টোবর ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনৈক ভাগিরথী, ইব্রাহিম কুট্টি ও সাহেব আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের বিরোধিতা করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো দুই সাক্ষী।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন আনোয়ার হোসেন ও গোলাম মোস্তফা। তারা দুজনই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরোধিতা করেন।
এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরার মধ্য দিয়ে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়।
আনোয়ার হোসেন ভাগিরথী হত্যাকাণ্ডের ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে ট্রাইব্যুনালে বলেন, গোপন তথ্য প্রকাশের দায়ে ওই নারীকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হত্যা করেছিল। ওই তথ্য ফাঁস হওয়ায় পাকসেনারা অনেক দুর্ভোগের মুখে পড়েছিল।
সাঈদীর সঙ্গে ভাগিরথী হত্যার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, ইব্রাহিম কুট্টি ও সাহেব আলী হত্যাকাণ্ডে সাঈদীর সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিরোধিতা করেন সাবেক স্কুলশিক্ষক গোলাম মোস্তফা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ যুদ্ধাপরাধের ২০টি ঘটনায় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদী অভিযুক্ত হন।
২০১০ সালের ২৯ জুন সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, অন্তত নয়জনকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর এবং একশ থেকে দেড়শ হিন্দুকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে, যাকে একাত্তরে তার এলাকার লোকজন ‘দেইল্লা রাজাকার’ নামে চিনত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/টিএ/এইচএএইচ/এমআই/২১৪৪ ঘ.