জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা: ঠাকুরগাঁওয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁয়ের স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2011, 08:29 AM
Updated : 23 April 2011, 08:29 AM
ঠাকুরগাঁও, এপ্রিল ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁয়ের স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বিকেলে শহরের আদালত চত্ত্বরের বটমূলে আয়োজিত এক শোক সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
'জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা দিবস' উপলক্ষে এ শোক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শোকসভার আগে শহরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে শোভাযাত্রা বের হয়। বিধবা নারী, স্বজনহারা পরিবারের সদস্য ও সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নেয়।
১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গায় তিন হাজারেরও বেশি বাঙালিকে ধরে নির্বিচারে হত্যা করে।
ঠাকুরগাঁও নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা. শেখ ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বায়েজিদ আক্কাস, কমিটির সমন্বয়কারী গাকুল স্যাকলান ও মোজাহেদুল ইসলাম সেলিম, সাংবাদিক আব্দুল লতিফ, মনসুর আলী, চৌধুরী ফজলে খুদা, ইউপি সদস্য ধনীচরণ ও একাত্তরে স্বামীহারা পবনসরী।
বক্তারা হত্যাকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করেন।
একাত্তরের স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা জানান, একাত্তরের ২৩ এপ্রিল ভোরে সদর উপজেলার ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু ভারতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়। জাঠিভাঙ্গায় তাদের পথ রোধ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে খবর দেয় রাজাকাররা।
দুই ট্রাক পাকিস্তানি সৈন্য এসে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় গণহত্যা চালায়। হত্যাযজ্ঞ চলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।
হানাদার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বিকালে চলে গেলে রাজাকাররা মৃতদেহগুলো পাশের নদীর পাড়ে ফেলে মাটি চাপা দেয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/কেএমএস/২০২৭ ঘ.