রোববার রাতে ফল ঘোষণার সময় প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তৈমুর সাংবাদিকদের বলেন, "এ রেজাল্টে আমি ডেডম্যান।"
"নেত্রীর নির্দেশে আমি নিজেকে কুরবান দিয়ে দিয়েছি," ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে এ কথা বলেন তিনি।
আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে অটল থাকার কথা শনিবার বিকাল পর্যন্ত জানিয়ে এলেও দলীয় সিদ্ধান্তের পর ভোটগ্রহণের সাড়ে ৭ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তৈমুর।
নারায়ণগঞ্জের এ বিএনপি নেতা এবারই প্রথম কোনো নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে যাওয়ায় ব্যালট পেপারে তার নাম থেকে যায়।
রাত ১১টায় নির্বাচন কমিশন থেকে বেসরকারি যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়, তাতে দেখা যায়, ৯৫ কেন্দ্রে তৈমুর ভোট পেয়েছেন ৪০৬৬ ভোট। তিনি রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমান থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
বিএনপি নেতারা বলছিলেন, আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী হওয়ায় এর সুবিধা পাবেন তাদের প্রার্থী তৈমুর।
তবে সেনা মোতায়েন না হওয়ায় বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা রোববার ভোটের সময় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে। তবে ফলাফল নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বিএনপি নেতারা।