প্রস্তাবিত পুলিশ আইন থেমে আছে মন্ত্রণালয়ে

পুলিশ প্রশাসনে জনমুখী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রণীত 'বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭' এর খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেমে আছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, খসড়াটি প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তুলে ধরা হবে। তবে কবে নাগাদ তা তোলা হবে তা তারা জানাতে পারেনি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আবু নোমান সজীব।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2008, 03:30 AM
Updated : 11 Jan 2008, 03:30 AM
আবু নোমান সজীব
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক
ঢাকা, জানুয়ারি ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুলিশ প্রশাসনে জনমুখী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রণীত 'বাংলাদেশ পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭' এর খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থেমে আছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, খসড়াটি প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তুলে ধরা হবে। তবে কবে নাগাদ তা তোলা হবে তা তারা জানাতে পারেনি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আবু নোমান সজীব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক পুলিশ প্রধান এএসএম শাহজাহানের নেতৃত্বে ২০০৭ সালে গঠিত একটি কমিটি পুলিশ আইন সংস্কারের খসড়াটি তৈরি করে। ছয় মাস আসে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। তবে তা ইংরেজিতে ছিল বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বাংলায় করে পাঠাতে বলা হয়। খসড়াটি বাংলায় পাঠানো হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে।
খসড়া প্রস্তাবে ১১ সদস্যের জাতীয় পুলিশ কমিশন, পাঁচ সদস্যের স্বাধীন পুলিশ অভিযোগ কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য পুলিশ ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশের স্বাভাবিক কাজে যারাই প্রভাব সৃষ্টি, তদবির ও হস্তক্ষেপ করবে তাদেরকেই এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং জাতীয় পুলিশ কমিশনে তদন্ত ও বিচারের মুখোমুখি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইউএনডিপি, ইউএসএআইডি ও ইউরোপীয় কমিশনের অর্থায়নে ২০০৫ সালে পুলিশ সংস্কার কর্মসূচির (পিআরপি) কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ডলার। শুরুতেই এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসীন। ২০০৭ সালে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরাকে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ওই প্রকল্পেরই একটি অংশ পুলিশ আইন সংস্কার। এ বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব তৈরিতে ২০০৭ সালে এএসএম শাহজাহানের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংশ্লি