নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির মাহবুব জয়ী

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন চারদলীয় জোট প্রার্থী বিএনপির মাহবুব উদ্দিন খোকন। ১০৫টি কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনায় মাহবুব (ধানের শীষ প্রতীক) পেয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৭২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের এইচএম ইব্রাহীম (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৮১ ভোট।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2009, 09:59 AM
Updated : 12 Jan 2009, 09:59 AM
নোয়াখালী, জানুয়ারি ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন চারদলীয় জোট প্রার্থী বিএনপির মাহবুব উদ্দিন খোকন। ১০৫টি কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট গণনায় মাহবুব (ধানের শীষ প্রতীক) পেয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৭২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের এইচএম ইব্রাহীম (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৮১ ভোট।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান আব্দুস সালাম তার স্বাক্ষরিত এ ফলাফল সাংবাদিকদের পড়ে শোনান এবং হস্তান্তর করেন।
এ ফলাফলের ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল হক।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এবং বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপুল বিজয়ের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন নিয়ে সঙ্গত কারণেই ছিল বাড়তি আগ্রহ।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যার পর সাড়ে ছয়টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আসতে শুরু করে।
মহাজোট প্রার্থী গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় এ আসনে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি।
সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দু' একটি ঘটনা ছাড়া বিকেল ৪টায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
অবশ্য দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট এবং চারদলীয় জোট প্রার্থী উভয়ই অভিযোগ করেছেন, তাদের সমর্থকদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।
একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বাক-বিতণ্ডার কারণে ১০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। সকাল ৮টায় ভোট নেওয়া শুরু হওয়ার সময় থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১০৫টি, ভোটকক্ষ ৫৫৯টি। দুটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা রয়েছে এ আসনে।
নির্বাচনে প্রার্থী সর্বমোট ১১ জন হলেও মাঠে ছিলেন আট জন। এর মধ্যে দুই জনের মধ্যেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
শীত উপেক্ষা করে নদনা ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন মোজাফফর আহমদ নামের ৮০ বয়সী এক বৃদ্ধ। সকালে ভোট দেওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হওয়ায় আমি ভোট দিতে এসেছি।"
"সব সময় যেন এমন উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট হয়", বলেন তিনি।
আইডিয়াল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নাতির কোলে চড়ে ভোট দিতে আসা ৭২ বছরের সায়েরা খাতুন বলেন, "ভোট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না। শান্তি থাকায় ভোট দিতে এলাম।"
দুপুর ১২টার সময় সোনাপুর আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মহাজোট ও চারদলীয় জোট প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ১০ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ভোট নেওয়া আবার শুরু হয়।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দুপুরে মাহবুব সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, "প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আমার সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে।"
একই অভিযোগ করেন ইব্রাহীমও।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রার্থীরা যে অভিযোগ করেছেন, তার সত্যতা আমরা পাইনি।"
নোয়াখালী-১ আসনে নির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির