নারী প্রার্থী সাড়ে ৩ শতাংশ

নবম সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫; যা মোট প্রার্থীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে ৫৫ জন নারী ৬০টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা গত নির্বাচনের চেয়ে এবার ১৮ জন বেড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2008, 02:20 AM
Updated : 7 June 2016, 05:59 PM

নবম সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫; যা মোট প্রার্থীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৮ জন। এর মধ্যে ৫৫ জন নারী ৬০টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা গত নির্বাচনের চেয়ে এবার ১৮ জন বেড়েছে।

এদিকে মোট প্রার্থীর মধ্যে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৯ জন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ রয়েছেন। তারা তিন জনই তিনটি করে আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ২৯৯টির (নোয়াখালী-১ ছাড়া) মধ্যে ৬০টি আসনে নারী প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা তিনটি করে এবং রওশন এরশাদ দুটি আসনে নির্বাচন করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আট জন।

নৌকা প্রতীকে ১৭টি আসনে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের ১৫ জন। শেখ হাসিনা ছাড়া রয়েছেন- মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, মুন্নুজান সুফিয়ান, সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলি, মেহের আফরোজ চুমকি, কবরী সারোয়ার, মাহাবুব আরা গিনি, জান্নাত আরা হেনরী, সুলতানা তরুণ, হাবিবুন নাহার, সানজিদা খান, লুৎফুন্নাহার বেগম, নিলুফার জাফর উল্লাহ ও রেবেকা মমিন।

বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ১৫টি আসনে নির্বাচন করেছেন ১৩ নারী। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- সেলিমা রহমান, হেলেন জেরিন খান, ইলেন ভুট্টো, শিরিন সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন, রুমানা মাহমুদ, শাহিদা আক্তার, আফরোজা খান, শামা ওবায়েদ, মাজেদা আহসান, হাসিনা আহমেদ ও মৈত্রী চাকমা।

এছাড়া গণফোরামের পাঁচ জন, বিকল্প ধারার তিন জন, কমিউনিস্ট পার্টির দুই জন, জাতীয় পার্টির দুই জন নারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় পার্টি (জেপি), বাসদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের এক জন করে নারী প্রার্থী রয়েছেন।

২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৩৯ জন। নারী প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন; যা মোট প্রার্থীর প্রায় ২ শতাংশ। এর মধ্যে ছয় জন জয়ী হন।

আসন্ন নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা ও এরশাদ সর্বোচ্চ তিন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া বিকল্প ধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. শহীদুল্লাহ কাজী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের কাজী ফারুক আহমদ, গণফ্রন্টের কৃষক মো. সাদেক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল ইসলাম মাইজভান্ডারী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ শহিদুল হক জামাল তিনটি করে আসনে নির্বাচন করছেন।

নতুন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির তিনটির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নেই।

দুটি আসনে প্রার্থী হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী, বিএনপি নেতা এম সাইফুর রহমান, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ এবং বিকল্প ধারার সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নৌকা প্রতীকে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ একাধিক আসনে প্রার্থী হননি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রংপুর-৬, বাগেরহাট-১ ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ধানের শীষ প্রতীকে খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

লাঙ্গল প্রতীকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-২ ও ঢাকা-১৭ আসনে।

অষ্টম সংসদ নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩২ জন।

নবম সংসদের ভোটার তালিকায় ৮ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার ৪ কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৯ জন।