কারাবন্দিরা ভোট দিতে পারছেন না

পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে বিলম্বিত হওয়ায় দেশের ৬৮ হাজার যোগ্য কারাবন্দি ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটার হলেও ভোট দিতে পারছেন না। এছাড়া নির্বাচনী কাজে জড়িত প্রায় কয়েকলাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও ভোট দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ডিআইজি প্রিজনের পক্ষে সারাদেশের কারাবন্দি ভোটারদের তালিকা জমা দেওয়া হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2008, 09:33 AM
Updated : 23 Dec 2008, 09:33 AM
ঢাকা ডিসেম্বর ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে বিলম্বিত হওয়ায় দেশের ৬৮ হাজার যোগ্য কারাবন্দি ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটার হলেও ভোট দিতে পারছেন না।
এছাড়া নির্বাচনী কাজে জড়িত প্রায় কয়েকলাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও ভোট দিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ডিআইজি প্রিজনের পক্ষে সারাদেশের কারাবন্দি ভোটারদের তালিকা জমা দেওয়া হয়। কারা কর্মকর্তা জাকারিয়া খান দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন,"দেশের ৬৭ কারাগারের প্রায় ৬৮ হাজার কারাবন্দী ভোটারের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। প্রথা অনুযায়ী এসব ভোটার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের করণীয় ঠিক করবে।"
সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ব্যালট পেপার মুদ্রণ কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় এবং নিয়ম অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটের আবেদন না করায় এবার কারাবন্দী ভোটারদের ভোট নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
প্রথমবারের মতো কারাবন্দীদের ভোটার করা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিষয়টিকে একটি বড় পাওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এবার তাদের ভোট গ্রহণ সম্ভব না-ও হতে পারে। অন্যান্য কাজে বিলম্ব হওয়ার কারণে করার কিছুই থাকবে না।"
ব্যালট পেপার মুদ্রণের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সারাদেশের সব নির্বাচনী আসনের মুদ্রণ কার্যক্রম নির্বাচনের দুইদিন আগে সম্পন্ন হতে পারে।
নিবাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ফরহাদ আহমেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হয়। এই ক্ষেত্রে কারাবন্দী কিংবা অন্য কেউ এই আবেদন করতে ব্যর্থ হলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ সম্ভব নয়। এ ছাড়া নির্বাচনের কমপক্ষে দুইদিন আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালট সরবরাহ করতে হয়, যাতে নির্বাচনের দিন এইসব ব্যালট কেন্দ্রে পৌছানো সম্ভব হয়।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন এমন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের ভোট পোস্টাল ব্যালটে দেওয়া সম্ভব হবে কিনা, জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, সময় স্বল্পতা ও যথাযথ আবেদন না করার কারণে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন না। অতীতেও দেখা গেছে, এসব কর্মকর্তা ভোট দিতে পারেন না।
তিনি জানান, এবার ৩৫ হাজার ২১৬ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, এক লাখ ৭৭ হাজার ১০৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৩ লাখ ৫৪ হাজার ২১৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
বুধবার থেকে নির্বাচনী মালামাল ও ব্যালট পেপার সরবরাহ করবে ইসি।
ইসি কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোর্শেদ জানান, ২৪ ডিসেম্বর থেকে দেশের ৬টি বিভাগে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল সরবরাহ করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকটি জেলায় রিটানিং কর্মকর্তাদের কাছে এইসব সামগ্রী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় পৌঁছে যাবে। যেসব আসনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ অসম্পূর্ণ রয়েছে, ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচসি/এসটি/এসকে/২১২০ ঘ.