'জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এখনো অর্থ আসেনি'

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিশ্র"তি পাওয়া গেলেও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে এখনো কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2011, 05:38 AM
Updated : 1 March 2011, 05:38 AM

ঢাকা, মার্চ ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিশ্র"তি পাওয়া গেলেও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে এখনো কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মঙ্গলবার এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।

হাছান মাহমুদ জানান, উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ১১ কোটি পাঁচ লাখ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং আইইউসিএন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার গত দুই অর্থ বছরে ৭০০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে একটি তহবিল গঠন করেছে। এ অর্থ সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

উপকূলীয় এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য আরো বেশি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন এবং লবণাক্ত পানি পরিশোধনের জন্য শোধনাগার স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, সরকার সাত লাখ ৫১ হাজার হেক্টর জমিতে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সুবিধাভোগীদের সুযোগও বাড়ানো হয়েছে। তাদের ৪০ শতাংশের পরিবর্তে ৭৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা এবং উপকূলীয় জনগণকে প্রাকৃতিক বৈরিতা থেকে রক্ষায় '৬০-এর দশকের আগের বাধগুলো ন্যূনতম এক মিটার উঁচু করার আহ্বান জানান উপকূলীয় এলাকার সাংসদরা।

এছাড়া উপকূল এলাকায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধসহ বিভিন্ন সড়ক ও বাধের বাইরের চরগুলোতে সামাজিক বনায়নেরও আহ্বান জানান তারা।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ বলেন, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের কারণেই পৃথিবী ক্রমশ গরম হয়ে উঠছে। আর এর শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো।

তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো একযোগে কাজ করছে। অনেক বিষয়ে আমাদের রাজনীতিকরা এক হতে না পারলেও এ ইস্যুতে এক হয়ে কাজ করছে। সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা একযোগে কাজ করলে, দ্রুতই এ সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংসদ রফিকুল ইসলাম, সোহরাব আলী ছানা, হাবিবুন নাহার তালুকদার, নিলুফার চৌধুরী মনি, পরিবেশ সচিব মেজবাহ উল আলম, আইইউসিএন'র কান্ট্রি ডিরেক্টর নিয়াজ আহমেদ খান, ডিএফআইডি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস অস্টিন ও ডেনমার্ক দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান জন মোলার হ্যানসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/এএল/পিডি/১৭৩৭ ঘ.